• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

ঢাকা সেনানিবাসে সাব-জেলে ১৫ সেনা কর্মকর্তার থাকার ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক    ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫০ এ.এম.
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ঢাকা সেনানিবাসের সাব-জেলে-ছবি সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের দুই মামলায় এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের এক মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগার থেকে ঢাকা সেনানিবাসের সাব-জেলে স্থানান্তর করা হয়েছে।

১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে ‘এম ই এস বিল্ডিং নম্বর-৫৪’ সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দুইদিন পর এটি প্রকাশ্যে আসে। সাব-জেলের নিরাপত্তার জন্য ৩৫ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

কারাবিধি অনুযায়ী তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব কারা অধিদপ্তরের। সাব-জেলের নিরাপত্তায় ৩৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আসামিদের খাওয়াদাওয়া কারাগার থেকেই দেওয়া হবে। বাইরে থেকে খাবার দেওয়া বা তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎও কারাবিধি মেনেই করতে হবে। সাব-জেলটি তৃতীয়তলাবিশিষ্ট ভবন। এতে ১৬টি কক্ষ। প্রতি কক্ষে একজন করে থাকার ব্যবস্থা আছে।

কারা সূত্র জানায়, সাব-জেলে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তার জন্য তিনবেলা খাবাবের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাবারের মেন্যুতে সকালের জন্য আছে রুটি ও সবজি। দুপুরে থাকছে ডাল, ভাত, সবজি ও মাছ/মাংস। রাতে থাকছে মাছ/মাংস ও সবজি। 

প্রতিটি কক্ষে একটি করে বিছানা, চেয়ার, টেবিল, ফ্যান এবং পত্রিকার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া চা পান ও অন্যান্য ছোট সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ও জেলা এই সাব-জেলের তদারকি করবেন। তিন শিফটে ডেপুটি জেলাররা দায়িত্ব পালন করবেন।

জানতে চাইলে এআইজি (প্রিজন্স) জান্নাতুল ফরহাদ বলেন, বুধবার আমরা আসামিদের পুলিশের কাছ থেকে বুঝে পেয়েছি। আসামিরা এখন আমাদের অধীন সাব-জেলে আছেন। পরবর্তী সময়ে যখন তাদের আদালতে হাজিরা থাকবে, তখন পুলিশ হেফাজতে আদালতে নেওয়া হবে। ফের আমাদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী তাদের খাওয়াদাওয়াসহ সব ধরনের ব্যবস্থা করছে কারা কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, ১৫ সেনা কর্মকর্তা সেনানিবাসে বাশার রোডের সাব-জেলেই থাকবেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার এবং জেলার সাব-জেলটি তদারকি করবেন। এছাড়া সার্বক্ষণিক একজন ডেপুটি জেলার সেখানে ডিউটি অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাব-জেলে নিয়োজিত করা হয়েছে। কারাবিধি অনুযায়ী অন্যান্য ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিদের মতোই সুবিধা পাবেন এখানকার বন্দিরা।

আসামিরা হলেন- মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
৪ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ
৪ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ
সারাদেশে পুলিশের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ চলছে: ডিএমপি কমিশনার
সারাদেশে পুলিশের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ চলছে: ডিএমপি কমিশনার
সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা