হঠাৎ ইসরায়েলের ওপর চরম ক্ষেপলো মুসলিম ৩ দেশ


হঠাৎ ইসরায়েলের বিষয়ে চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কাতার, সৌদি আরব ও জর্ডান। দ্বিরাষ্ট্র সমাধানকে সামনে রেখে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড পুরোপুরিভাবে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে যুক্ত করে নেওয়ার ভয়ংকর এক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে দখলদাররা। এমন বিষয় সামনে আসতেই মূলত কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ।
নেসেটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জুদিয়া ও সামারিয়া (পশ্চিম তীরের) অঞ্চলে ইসরায়েল রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব প্রয়োগ করার জন্য বিলটি প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত হয়েছে। এখন বিষয়টি আরও আলোচনার জন্য নেসেটের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটিতে যাবে।
নেসেটের ১২০ সদস্যের পার্লামেন্টে মঙ্গলবার ২৫-২৪ ভোটে বিলটি প্রথম ধাপে পাস হয়। বিলটি পূর্ণাঙ্গ আইন হিসেবে কার্যকর হওয়ার আগে আরও চার ধাপের ভোটাভুটি বাকি আছে। নেসেটের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জুদিয়া ও সামারিয়া (পশ্চিম তীর) অঞ্চলে ইসরায়েল রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব প্রয়োগ করতে এই বিল অনুমোদিত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিম তীর, গাজা ও জেরুজালেম একটি অবিচ্ছিন্ন ভৌগোলিক এলাকা এবং এর ওপর ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই। হামাসও এই পদক্ষেপকে দখলদারিত্বের কুৎসিত চেহারা হিসেবে অভিহিত করেছে।
কাতার বলেছে, এটি ফিলিস্তিনিদের ঐতিহাসিক অধিকারের প্রকাশ্য লঙ্ঘন। সৌদি আরব ও জর্ডানও আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে এই পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে, এটি দুই রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তি ধ্বংস করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও নেসেটে পাস হওয়া বিলটিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল সফরে রওনা হয়েছেন।
এছাড়া, বিলটির বিরোধিতা করেছেন খোদ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার দল লিকুদ পার্টির এমপিরা। এ ভোটকে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের লক্ষ্যে বিরোধী দলের উসকানি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বর্তমানে দখলকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৭ লাখের বেশি ইসরায়েলি জোরপূর্বক বসতি গড়ে বসেছে, যা আন্তর্জাতিক আইনে ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/জা