ইউএনও’র চ্যালেঞ্জ “সব খুলে দেখুন, সত্য প্রকাশ পাবে”


নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার একটি নান্দনিক স্থাপনা “জালাল মঞ্চ” ঘিরে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে। স্থানীয়দের একাংশ অভিযোগ তুলেছেন, মঞ্চ নির্মাণে অর্থের হেরফের হয়েছে। অন্যদিকে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই অভিযোগকে অর্ধসত্য ও বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করা হয়েছে।
এসব মন্তব্যের জবাবে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ড.ইমদাদুল হক তালুকদার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্পষ্ট ও সাহসী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, বিশদ প্রেসনোট প্রকাশের পরও যারা বুঝে বা না বুঝে ফেসবুকে নানা ধরণের আপত্তিকর ভাষায় আক্রমণ করে যাচ্ছেন ‘জালাল মঞ্চ’-এর নির্মাণ ব্যয় নিয়ে, তাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা দক্ষ ও অভিজ্ঞ স্থাপত্যশিল্পীদের টিম নিয়ে আসুন। সকল ডকুমেন্ট আর মঞ্চ কোদাল-শাবল দিয়ে খুঁড়ে দেখুন। যদি এখানে চুরি করে থাকি, জনতার আদালতে আমার বিচার হবে।
তিনি আরও লেখেন, অর্ধসত্য জেনে বা কোনো জ্ঞান ছাড়াই কুৎসিত মন্তব্য ও প্রচারণার মাধ্যমে আমাকে কলঙ্কিত করার দায় কে নেবে! যারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণে আগ্রহী, যোগাযোগ করুন আমি প্রস্তুত।
পোস্টের শেষে ইউএনও লেখেন, সিধেল চোরও তার সন্তানের ওষুধের টাকা মেরে খায়না আপনার জন্মভূমির লোকজ রত্ন আমার সন্তানের মতই পরম আপন আমি লজ্জিত ব্যথিত ও মর্মাহত।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, “জালাল মঞ্চ” নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে পাকা মঞ্চ নির্মাণ, শিল্পকর্ম, ল্যান্ডস্কেপ ও আলোকসজ্জার খরচ অন্তর্ভুক্ত। ইউএনও’র ভাষ্য অনুযায়ী, কাজের প্রতিটি ধাপে নিয়ম মেনে টেন্ডার ও সরকারি নিরীক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন মহলের একাংশ বলছেন, এ ধরনের স্থাপনা একটি অঞ্চলের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে তাই সমালোচনার আগে সঠিক তথ্য যাচাই করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে, কেউ কেউ মনে করছেন সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এসব প্রশ্ন তোলা এবং খোলামেলা ব্যাখ্যা পাওয়া জনস্বার্থেই গুরুত্বপূর্ণ।
সব মিলিয়ে, “জালাল মঞ্চ” এখন শুধু একটি শিল্পকর্ম নয় এটি হয়ে উঠেছে কেন্দুয়ার জনমতের কেন্দ্রবিন্দু।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ