• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় রুশ তেল কেনা সাময়িকভাবে বন্ধ করল চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক    ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২৪ পি.এম.
রুশ তেল আমদানিতে চীনের সাময়িক বিরতি-ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নতুন নিষেধাজ্ঞার জেরে রাশিয়া থেকে সমুদ্রপথে তেল কেনা সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানিগুলো। বাণিজ্য-সম্পর্কিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তে রাশিয়ার তেল রপ্তানি ও বৈদেশিক আয়ে বড় ধাক্কার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, ওয়াশিংটন রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েল–এর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরই এ সিদ্ধান্ত নেয় চীন। রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

রাশিয়া থেকে সমুদ্রপথে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করা দেশ ভারতও নতুন নিষেধাজ্ঞা মেনে রুশ তেল ক্রয় কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে চীন ও ভারতের আমদানি হ্রাস পেলে মস্কোর তেল রাজস্বে বড় আঘাত লাগতে পারে এবং বিকল্প জোগান সংকটে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামও বাড়তে পারে।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি এড়াতে চীনের রাষ্ট্রীয় চারটি কোম্পানি-পেট্রোচায়না, সিনোপেক, সিএনওওসি ও ঝেনহুয়া অয়েল—স্বল্পমেয়াদে রুশ তেল কেনাবেচা স্থগিত রেখেছে। তবে এসব কোম্পানি এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।

রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, চীন প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৪ লাখ ব্যারেল রুশ তেল সমুদ্রপথে আমদানি করে, যার বড় অংশই কেনে স্বাধীন বা “টি-পট” রিফাইনারিগুলো।

তবে রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর আমদানির পরিমাণ নিয়ে মতভেদ রয়েছে-ভরটেক্সা অ্যানালিটিকস বলছে, ২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে গড়ে ২ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেলের নিচে ছিল; অন্যদিকে এনার্জি অ্যাসপেক্টস বলছে, তা প্রায় ৫ লাখ ব্যারেল।

রসনেফট ও লুকঅয়েল সাধারণত তাদের তেল চীনে সরাসরি না পাঠিয়ে মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে। স্বাধীন রিফাইনারিগুলোও নিষেধাজ্ঞার প্রভাব যাচাইয়ের জন্য কিছু সময় ক্রয় স্থগিত রাখলেও রুশ তেল কেনা পুরোপুরি বন্ধ করবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া চীন পাইপলাইন দিয়েও প্রতিদিন প্রায় ৯ লাখ ব্যারেল রুশ তেল আমদানি করে, যা পায় একমাত্র পেট্রোচায়না। ব্যবসায়ীদের ধারণা, পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তেমন প্রভাব ফেলবে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রুশ তেল আমদানি কমালে চীন ও ভারত বিকল্প বাজারের দিকে ঝুঁকবে। এতে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার তেলের চাহিদা ও দাম দুটোই বাড়বে।

ভিওডি বাংলা/জা
 

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফিলিস্তিনে সেনা পাঠাতে চায় মালয়েশিয়া
ফিলিস্তিনে সেনা পাঠাতে চায় মালয়েশিয়া
ভেনেজুয়েলার উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ
ভেনেজুয়েলার উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ
পৃথিবীর সেরা পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা রাশিয়ার — দাবি পুতিনের
পৃথিবীর সেরা পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা রাশিয়ার — দাবি পুতিনের