জীবন ও দুঃখ: কাজী ইমদাদুল

জন্মের প্রথম কান্নাটি কি কোনো গভীর দুঃখের অনুভূতি?
না কি তা দুঃখের অনুভূতির পরীক্ষা।
মানুষ আসে এখানে কিছু শিখতে, কিছু হারাতে,
আর সেই হারানোর ভেতরেই আবার কিছু খুঁজেও পায়। না হয় সে আসবে কেনো?
দুঃখ যেন এক অনন্ত স্রোত,
যা বয়ে যায় আমাদের রক্তে, নিঃশ্বাসে, স্বপ্নে ও জাগরণে।
তবু সেই দুঃখই তো জাগায় চিন্তা,
যে প্রশ্ন করে — “আমি কে? কেন বেঁচে আছি?”
এক দার্শনিক বলেছেন, “জীবন দুঃখময়” —
মানুষের জন্ম, বার্ধক্য, রোগ, মৃত্যু — সবই দুঃখের উৎস।
কিন্তু এই দুঃখের কারণও আছে — তা হলো মানুষের সহজাত জাগতিক তৃষ্ণা বা আসক্তি।
যখন মানুষ আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি, অহং থেকে মুক্ত হতে শেখে, তখনই সে দুঃখ থেকে মুক্তি পাবে।
অর্থাৎ, জীবন দুঃখের আধার বটে, কিন্তু সেই দুঃখ থেকে মুক্তির সম্ভাবনাও আছে।
একজন মহাকবি বলেছিলেন — দুঃখেই আছে প্রেমের মহিমা।
আমরা হাঁটি এই দুইয়ের মাঝপথে —
একদিকে ত্যাগ, অন্যদিকে তীব্র অনুভব।
জীবন কখনও শান্ত, কখনও ঝড়,
তবু প্রতিটি অশ্রুবিন্দুতেই লুকিয়ে থাকে এক নতুন আলো , এক নতুন আশা।
দুঃখ আমাদের ভাঙে, আবার গড়ে —
যেন মৃৎশিল্পীর হাতে নরম মাটি।
তাই---
দুঃখকে ভয় নয়, তাকে বুঝতে শিখাই জ্ঞান!
কারণ, দুঃখই মানুষের গভীরতম শিক্ষক,
যে শেখায় — শত আঘাতেও কিভাবে বেঁচে থাকতে হয়।
একজন বলেছেন দুঃখের অপর নাম সৃষ্টিশীলতা, আবার অন্যজন বলেছেন দুঃখ পরিণামে মৃত্যুও ডেকে আনে।
সৃষ্টি বা মৃত্যু যা-ই হোক , মুক্তি কোথায়?
ভিওডি বাংলা/ এম/এমএইচপি







