জানতো না ঐকমত্য কমিশন
শহীদ পরিবারগুলো প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছে না

জাতীয় সংসদের এলডি হলে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহীদ পরিবারগুলো যে প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছে না এবং বঞ্চনার শিকার হচ্ছে তা তাদের জানা ছিল না।
বৈঠকে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
রোববার (২৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত বৈঠকে জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরা কমিশনকে অবহিত করেন যে, যেসব আদর্শ ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তাদের সন্তানরা জীবন উৎসর্গ করেছে, তা আজও পূরণ হয়নি। বরং বিভিন্ন দফতারে তারা নানাভাবে লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। তারা জানান, নানা সময়ে নিজেদের সমস্যাগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করলেও অদৃশ্য প্রতিবন্ধকতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
শহীদ পরিবারবর্গ আরও জানায়, জুলাই জাতীয় সনদের একটি আইনি ভিত্তি থাকা প্রয়োজন, একইসঙ্গে তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টিও জরুরি। এ বিষয়ে বৈঠকে উপস্থিত শহীদ পরিবারের সদস্যরা একমত পোষণ করেন।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা অবগত যে জুলাই ফাউন্ডেশন এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তবে শহীদ পরিবারগুলো যে প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছে না এবং বঞ্চনার শিকার হচ্ছে তা তাদের জানা ছিল না। কমিশন তাদের আশ্বস্ত করেছে উত্থাপিত সব বিষয় যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এছাড়া, শহীদ পরিবারবর্গ যখনই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা প্রকাশ করবে, কমিশন এ ব্যাপারে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে।
বৈঠকে জুলাই শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের হয়ে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া (শহীদ ফারহান ফাইয়াজের পিতা), মীর মোস্তাফিজুর রহমান (শহীদ মুগ্ধ’র পিতা), মো. মহিউদ্দীন (শহীদ ইয়ামিনের পিতা), কবির হোসেন (শহীদ জাবির ইব্রাহিমের পিতা), মোহাম্মদ আবদুল মতিন (শহীদ শাহরিয়ারের পিতা), মো. গোলাম রাজ্জাক (শহীদ রিয়ানের পিতা), গাউছ উল্লাহ (শহীদ আব্দুল্লাহ’র ভাই), সাইফ আহমেদ খান (শহীদ আব্দুল হান্নানের ছেলে), মো. ওবায়দুল হক, সৈয়দ গাজীউর রহমান (শহীদ মোন্তাসিরের পিতা)।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচপি







