আদালতে ‘পর্ন তারকা’ যুগলের জবানবন্দি

পল্টন মডেল থানার পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সম্প্রতি আলোচনায় আসা ‘পর্ন তারকা’ যুগল। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে রোববার (২৬ অক্টোবর) সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমান জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন।
এর আগে আসামিরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা আসামি মুহাম্মদ আজিমের ও ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুব আসামি বৃষ্টির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হারুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত সোমবার ভোররাতে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিট বান্দরবানের হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় পর্ন ভিডিও তৈরির আলামত হিসেবে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিমকার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
সম্প্রতি একটি পর্ন সাইটে শীর্ষ তারকাদের তালিকায় ওই যুগলের নাম উঠে আসে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় ‘দ্য ডিসেন্ট’। অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, বাংলাদেশের আইনে এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ না থাকলেও তাদের কোনও প্রশাসনিক পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হয়নি।
এ ঘটনায় অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। ২১ অক্টোবর সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শামীম হোসেন পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, এ মাসের ১৭ তারিখে ডিসেন্ট নামে এক গণমাধ্যমে সংবাদ হয়, ‘পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশি যুগল যেভাবে আন্তর্জাতিক পর্ন তারকা’। সেখানে দেখা যায় একটি চক্র বাংলাদেশে নিষিদ্ধ পর্নোগ্রাফি উৎপাদন করে সেগুলো অনলাইনে বিভিন্ন পর্ণ সাইটে আপলোড করে ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে সাধারণ ছেলে-মেয়েদের যৌনক্রিয়া ও পর্নোগ্রাফি উৎপাদনে আকৃষ্ট করছে। আসামিদের সৃষ্টি করা একাউন্ট থেকে তাদের তৈরি করা শতাধিক পর্নোগ্রাফি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। সংবাদটি পর্যালোচনা করে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মুহাম্মদ আজিম (২৮) বৃষ্টিদের (২৮) শনাক্ত করতে সক্ষম হন মামলার বাদী।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আসামিদের ফেসবুক, ইনস্ট্রাগ্রাম ও টেলিগ্রাম আইডি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তারা অন্যান্য সহযোগিদের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ পর্নোগ্রাফি তৈরি করে সেগুলো অনলাইনে বিভিন্ন পর্ণ ওয়েবসাইটে আপলোড করে এবং একইসঙ্গে সাধারণ ছেলে-মেয়েদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে পর্ণোগ্রাফি তৈরিতে আহবান জানায়।’
ভিওডি বাংলা/ এম





