• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

আড়াই লাখ টন জঞ্জালের চাপে ধুঁকছে গাজা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক    ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০৮ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর গত দুই বছরের ধারাবাহিক অভিযানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার প্রায় ৯০ শতাংশ ভবন পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত এসব ভবনের আড়াই লাখ টন জঞ্জাল এখন গাজাবাসীর জন্য বড় সংকটে পরিণত হয়েছে।

গাজার বৃহত্তম শহর গাজা সিটির পৌরসভা মুখপাত্র আসিম আল নাবিহ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, “আমাদের প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী গাজা উপত্যকায় বর্তমানে অন্তত আড়াই লাখ টন জঞ্জাল ছড়িয়ে আছে। এই ধ্বংসস্তূপ থেকে নির্গত ধুলো-বালি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠছে।”

তিনি জানান, এই বিপুল পরিমাণ জঞ্জাল অপসারণ এখন গাজার আঞ্চলিক প্রশাসনের পক্ষে কার্যত অসম্ভব। কারণ, জঞ্জাল সরানোর উপযোগী যেসব যন্ত্রপাতি ও ক্রেন ছিল, সেগুলোর বেশিরভাগই ইসরায়েলি বাহিনী ধ্বংস করে দিয়েছে।

অল্প কিছু যন্ত্রপাতি সচল থাকলেও সেগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছে না, কারণ গাজার কিছু এলাকা এখনো ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন ‘ইয়েলো লাইন’-এ পড়ে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। গাজার একমাত্র ল্যান্ডফিল বা ডাম্পিং জোন ‘জুহর আল দিক’-ও ওই নিষিদ্ধ এলাকার মধ্যেই রয়েছে।

এছাড়া গাজার পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। নাবিহ জানান, ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৭ লাখ মিটার পাইপলাইন নেটওয়ার্ক ধ্বংস হয়েছে।

“আমাদের এখন জরুরি ভিত্তিতে ভারী যন্ত্রপাতি, জ্বালানি ও নতুন পাইপলাইন প্রয়োজন। এছাড়া জুহর আল দিকের ল্যান্ডফিলটিকে ইয়েলো লাইনের বাইরে রাখতে হবে। তা না হলে অচিরেই গাজায় ভয়াবহ স্বাস্থ্য বিপর্যয় ও মহামারি দেখা দেবে,” - বলেন আসিম আল নাবিহ।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গাজায় তুর্কি বাহিনীর উপস্থিতির বিরোধিতায় ইসরায়েল
গাজায় তুর্কি বাহিনীর উপস্থিতির বিরোধিতায় ইসরায়েল
শতাব্দীর ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘মেলিসা’, ধেয়ে আসছে ২৬০ কিমি বেগে
শতাব্দীর ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘মেলিসা’, ধেয়ে আসছে ২৬০ কিমি বেগে
আধা ঘণ্টার ব্যবধানে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
আধা ঘণ্টার ব্যবধানে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত