সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে আ.লীগের নেতা বাচ্চুর মৃত্যু

সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে থাকা এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সভাপতি আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু (৮০) মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর দরবার শরীফ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী রাজনীতিক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার এস. এম. কামরুজ্জামান জানান, আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু গত ২৪ এপ্রিল থেকে কারাগারে বন্দি ছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কারা কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সকাল ১০টা ৫ মিনিটে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক কর্তব্যরত অবস্থায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বার্ধক্যজনিত কারণে আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চুর মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। বর্তমানে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই মাসে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় এনায়েতপুর থানা এলাকায় সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় থানায় হামলা ও ১৫ পুলিশ সদস্য হত্যা মামলাসহ চারটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু। এসব মামলায় তিনি দীর্ঘদিন কারাভোগ করছিলেন।
এনায়েতপুর ও চৌহালী এলাকায় তার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। রাজনৈতিক সহকর্মী ও অনুসারীরা হাসপাতাল ও বাড়িতে ভিড় করেন। অনেকে তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং পরিবার চাইলে নিজ গ্রামে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ







