খাবার নিয়ে সন্তানকে আড়ালে যেতে দেবেন না

খাবার কেবল শরীরের জ্বালানি নয়, এটি পরিবারের সম্পর্কের অন্যতম শক্ত বন্ধন। তাই সন্তানকে একা ঘরে বসে খাবার খেতে না দিয়ে, পরিবারের সবাইকে নিয়ে টেবিলে একসাথে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
একসাথে খাওয়ার এই সময়টি পারিবারিক আলাপ, হাসি-আনন্দ এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার জায়গা তৈরি করে। এতে সন্তান মনে করে-সে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

মানসিক ও আচরণগত উন্নতি ঘটে
যখন পরিবারের সবাই একসাথে বসে খায়, তখন সন্তান শেখে নানা সামাজিক দক্ষতা-
ভদ্রভাবে কথা বলা
অন্যের কথা মন দিয়ে শোনা
ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা
অল্প খাবার ভাগ করে খাওয়ার মানসিকতা
এই অভ্যাসগুলো শিশুর মানসিক ও আচরণগত বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে ওঠে
যদি শিশু একা খায়, তখন সে টিভি বা মোবাইলে মন দেয়, ফলে হয় অতিরিক্ত খায়, নয়তো কম খায়। এতে পুষ্টির ভারসাম্য নষ্ট হয়। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে বসে খেলে, সে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলে এবং জাঙ্ক ফুডের প্রতি আকর্ষণ কমে যায়।
পারিবারিক যোগাযোগ বাড়ে
একসাথে খাবার সময় হলো দিনের এমন একটি মুহূর্ত, যখন সবাই নিজের দিনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারে-স্কুলের ঘটনা, কাজের কথা, আনন্দ বা দুঃখ। এতে সন্তান শেখে খোলামেলা হতে, বুঝতে পারে তার কথাও পরিবারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
টেবিল সাজানোর দায়িত্ব দিন সন্তানকে
সন্তানকে টেবিলে খাবার সাজাতে সাহায্য করতে শেখানো শুধু কাজ শেখানো নয়-
এটি দায়িত্ববোধ, সহযোগিতা ও পারিবারিক মূল্যবোধ শেখায়।
যখন বলা হয়, “চলো, টেবিল সাজাতে সাহায্য করো”, তখন সে বুঝতে শেখে, পরিবারের কাজে সবার ভূমিকা আছে-শুধু মা নয়, বাবা ও সেও দায়িত্বশীল সদস্য।
এতে শিশুর মধ্যে শৃঙ্খলা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সংগঠনের অভ্যাস তৈরি হয়।
সম্মানবোধ ও কৃতজ্ঞতা শেখে
যখন সন্তান দেখে খাবার প্রস্তুতে কষ্ট ও সময় লাগে, তখন সে খাবার এবং রাঁধুনিকে (সাধারণত মা বা বাবা) আরও বেশি সম্মান করতে শেখে।
খাবার শুধু পুষ্টির উৎস নয়, এটি পরিবারের হৃদয়ের সংযোগ। তাই সন্তানকে আড়ালে একা খেতে দেবেন না- একসাথে বসে খাওয়াই তার জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা।
ভিওডি বাংলা/জা







