• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

কাঠগড়ায় মেজাজ হারালেন কামরুল ইসলাম

আদালত প্রতিবেদক    ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৩ পি.এম.
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। ছবি-সংগৃহীত

‎কাঠগড়ায় চকলেট দিতে বাধা দেওয়ায় মেজাজ হারিয়ে পুলিশ সদস্যদের ধমকালেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। বুধবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালতে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার সময় এজলাসে ছিলেন না বিচারক। পরে আদালতে কামরুল ইসলামকে পানি ও চকলেট খাওয়ানোর অনুমতি চেয়েও তা মেলেনি।

‎জুলাই আন্দোলনে বাংলামোটরে আল আমিন ইসলাম ওরফে সোয়েব হত্যাচেষ্টা মামলায় কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখাতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।তাকে ঢাকার চিফ মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।

সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে তাকে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় কামরুল ইসলামের হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট, বুকে বুলেটপ্রুফ পরিহিত ছিল। 

কাঠগড়ায় নেওয়ার পর তার মাথা থেকে হেলমেট ও বুক থেকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট খুলে ফেলা হয়। এ সময় কাঠগড়ার সামনে দাড়িয়ে থাকা তার আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন একটি চকলেট বের করে তাকে খেতে দেন।

চকলেটে হাতে নিয়েই মুখে নেন কামরুল ইসলাম। এটা দেখে ওই আইনজীবীকে পুলিশ সদস্যরা ধমকান। তখন কামরুল ইসলাম পুলিশ সদস্যদের বলেন,‘আমি ডায়াবেটিসের রোগী। এজন্য আমাকে একটা চকলেট দিয়েছে। তার জন্য তাকে বাধা দেবেন? বেয়াদব কোথাকার।’ এরপর পুলিশ সদস্যরা তাকে ওই আইনজীবী কাঠগড়ার সামনে থেকে সরিয়ে দেন।

‎‎এরই মধ্যে ম্যাজিস্ট্রট জুয়েল রানা এজলাসে ওঠেন। পরে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

‎‎এরপর আইনজীবী আফতাব মাহমুদ চৌধুরী কামরুল ইসলামকে চকলেট, পানি খাওয়ানোর অনুমতি চান। তবে আদালত থেকে অনুমতি মেলেনি।

‎‎পরে আফতাব মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘কামরুল ইসলাম ক্যানসার আক্রান্ত অসুস্থ একজন মানুষ। তার ডায়ারেটিসও রয়েছে। কারাগার থেকে সকালে তাকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। পরে আদালতে তোলা হলে তিনি ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েন। চকলেট খাওয়ার অনুমতি না দিলেও মানবিক বিবেচনায় অন্তত তাকে পানি খাওয়ানোর অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আদালত অনুমতি দেননি। বিষয়টা হতাশার।’

‎‎মামলার বিবরণ থেকে জানা যায় , জুলাই আন্দোলনের সময় ৪ অগাস্ট আন্দোলনকারীরা বাংলামোটর ফুটওভার ব্রিজের মোড়ে অবস্থান করছিল। এ সময় আসামিরা লাঠি-সোঠা, দেশী-বিদেশি ধারালো অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং অনবরত গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন আল আমিন ইসলাম।

এ ঘটনায় আল আমিন গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর কামরুল ইসলামসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

‎‎গত বছরের ১৮ নভেম্বর ঢাকার উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচপি

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চতুর্থ দিনের আপিল শুনানি চলছে
চতুর্থ দিনের আপিল শুনানি চলছে
ইনু-হানিফের অভিযোগ গঠনে আসামিপক্ষের শুনানি আজ
ইনু-হানিফের অভিযোগ গঠনে আসামিপক্ষের শুনানি আজ
দুদকের মামলায় শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব ও তার  স্ত্রী
দুদকের মামলায় শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব ও তার স্ত্রী