১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি শেষ করার তাগিদ

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আাগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ আগামী ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে নির্বাচনকালীন পদায়ন শুরু হবে। তবে এবারের নির্বাচনে গত ৩ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের রাখা হবে না।
যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত থাকার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘নির্বাচনী কর্মকর্তা পদায়নের ব্যাপারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে সে অনুযায়ী কাজ হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব নিয়ে কাজ করতে দুটি কমিটি কাজ করবে। ডিজইনফর্মেশনের ব্যাপারগুলোর জন্যও কাজ করতে কমিটি থাকবে। ফেসবুকের সঙ্গেও এ ব্যাপারে কথা হবে।’
নির্বাচনে কারা কারা দায়িত্ব পালন করছে- এ বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘সেনাবাহিনী জানিয়েছে সাড়ে ৯২ হাজারের মতো সেনা এবং নৌবাহিনীর সদস্য কাজ করবেন। এর মধ্যে ৯০ হাজার থাকবে সেনা সদস্য আর বাকিটা নৌবাহিনীর সদস্য। ভোটের দায়িত্বে সব থেকে বেশি থাকছে আনসার সদস্য। পুলিশের কাছে বডি ক্যামেরাও থাকবে।’
বৈঠকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা রুখে দিতে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘গত তিন নির্বাচনের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন, এবার তাদের নির্বাচনী কর্মকর্তা হিসেবে রাখা হবে না।’
একবিংশ শতকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে বড় খুনি নেই, সেটা জাতিসংঘের প্রতিতবেদনেই রয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, ‘কেউ কোনো অপকর্ম করে পার পাবে, এটা হবে না। সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকছে।’
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ






