উপদেষ্টাদের
ভোটে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধসহ ৯ দফা প্রস্তাব গণঅধিকার পরিষদের

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে—এমন বিধানসহ নয় দফা প্রস্তাব দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে দলটির সহ-সভাপতি ফারুক হাসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর-এর নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। বৈঠকে দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে নয়টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা চাই, আগামী নির্বাচনে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা যেন প্রার্থী হতে না পারেন। এছাড়া নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক সম্পৃক্তদের দায়িত্ব না দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।’
গণঅধিকার পরিষদের ৯ দফা প্রস্তাব:
১. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।
২. রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিসংশ্লিষ্ট কাউকে নির্বাচনী দায়িত্বে না রাখা।
৩. প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও বাইরে জায়ান্ট স্ক্রিনে ভোট কার্যক্রম প্রদর্শনের ব্যবস্থা।
৪. ব্যালট বাক্স পরিবহনে প্রার্থীদের এজেন্টদের সঙ্গে রাখার বিধান।
৫. সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশাধিকার ও অনিয়মের অভিযোগ পেলে ভোট স্থগিতের ক্ষমতা।
৬. নির্বাচনী বাধা, ভয়ভীতি বা হামলার ঘটনায় প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৭. ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের পুনরায় দায়িত্ব না দেওয়া।
৮. অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টার নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
৯. তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসন পুনর্গঠন।
উল্লেখ্য, এর আগে বিএনপি ৩৬ দফা এবং জামায়াতে ইসলামী ১৮ দফা প্রস্তাব জমা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনে।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ






