বড় শক্তি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে
সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ছোটখাট নয়, বরং বড় শক্তি নিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হবে উল্লেখ করে এ বিষয়ে প্রস্তুত ও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা তার রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক এ কথা বলেন। বৈঠকে নির্বাচন কমিশন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেছেন, আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার জন্য দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে বড় শক্তি কাজ করবে এবং এই নির্বাচন হবে চ্যালেঞ্জিং। ছোটখাট নয়, বরং বড় শক্তি নিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হবে এবং ‘হঠাৎ করে আক্রমণ’ চলে আসতে পারে। তবে, যত ঝড়ঝাপ্টা আসুক না কেন, তা অতিক্রম করে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো একটা নির্বাচন করাই সরকারের লক্ষ্য।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, যারা পতিত স্বৈরাচার এবং তার দোসর, তারা দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক তা চাইবে না। কারণ বিগত সময়ে স্থানীয় থেকে জাতীয় কোনো নির্বাচনই ফেয়ার হয়নি। তারা দেশে একটি আনস্ট্যাবিলিটি (অস্থিরতা) তৈরি করতে চায়। প্রধান উপদেষ্টা সে বিষয়ে সবাইকে অ্যালার্ট (সতর্ক) থাকতে বলেছেন এবং তিনি স্পষ্টত দেখছেন, অনেকে নির্বাচন বানচালের জন্য দেশে বসে ‘অনেক ধরনের কন্সপিরেসি’ করছে।
প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আগামী নির্বাচন সুন্দর ও উৎসবমুখর করতে হলে মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। নির্বাচনী নীতিমালা, ভোটকেন্দ্রের নিয়ম, কীভাবে ভোট প্রদান করতে হবে, কোথাও বিশৃঙ্খলা হলে কী করতে হবে, এসব বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সংখ্যক টিভিসি, ডকুমেন্টারি বা ভিডিও তৈরি করা এবং তা যেন খুব দ্রুত ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসে, সেই নির্দেশ দিয়েছেন। সবাই যেন এটা দেখে নিজেরাই অনেক ক্ষেত্রে প্রস্তুত হতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে আমরা বারবার একটা কথাই বলছি যে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। আর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন এবং তারা এ বিষয়ে বলেছে, সম্ভবত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তারা জানাবেন। এর বাইরে আমাদের বলার কিছু নেই। আমরা বারবার বলছি নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে।
তিনি জানান, ১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এর মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচনকে সুন্দর, উৎসবমুখর ও চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচপি





