ইসি জারি করলো নতুন ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫’

অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নিকটবর্তী। এ প্রেক্ষিতে দেশীয় পর্যবেক্ষকদের জন্য ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই নতুন নীতিমালা জারির বিষয়ে জানান।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করা, ত্রুটিবিচ্যুতি চিহ্নিত করা এবং ভোটারের আস্থা বৃদ্ধি করা।
বেসরকারি সংস্থা যারা গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে এবং যাদের নিবন্ধিত গঠনতন্ত্রে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নাগরিকদের তথ্য প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণের অঙ্গীকার আছে, কেবল তারা আবেদন করতে পারবে। সংস্থাগুলোকে নিবন্ধনের জন্য দৈনিক পত্রিকায় ১৫ দিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, সংস্থার প্রধান নির্বাহী বা পরিচালনা পর্ষদের কোনো সদস্য যদি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হন, সংস্থা নিবন্ধন পাবে না। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে হুবহু মিল থাকলে বা আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন দাখিল করলে নিবন্ধন বাতিল হবে।
নিবন্ধনের মেয়াদ ৫ বছর এবং মেয়াদ শেষ হলে নির্দিষ্ট শর্তে নবায়ন সম্ভব। সংস্থাগুলোকে ৫ বছরের মধ্যে জাতীয় সংসদের কমপক্ষে একটি সাধারণ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের অন্তত ৪টি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রতি দুই বছর অন্তর দ্বি-বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল বাধ্যতামূলক।
পর্যবেক্ষকের যোগ্যতা ও মোতায়েন : নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে একজন ব্যক্তির লিখিত যোগ্যতা থাকতে হবে। ১. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ২. বয়স ২১ (একুশ) বছর বা তদূর্ধ্ব হতে হবে। ৩. ন্যূনতম উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ৪. কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হতে পারবে না। ৫. কোনো রাজনৈতিক দল বা দলের অঙ্গসংগঠন বা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সাথে ব্যক্তিগত স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারবে না। ৬. রাজনৈতিক দল বা এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কেউ পর্যবেক্ষক হতে পারবেন না। ৭. পর্যবেক্ষক মোতায়েনের একক ইউনিট হবে উপজেলা/মেট্রোপলিটন থানা অথবা সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা। ৮. পর্যবেক্ষকদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা বা ভোটার হওয়া চলবে না। ৯. নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচনের আগের দিন, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরের দিন, অর্থাৎ ৩ (তিন) দিনের জন্য পর্যবেক্ষক মোতায়েন করতে পারবে।
পর্যবেক্ষক বাতিল প্রক্রিয়া:
নীতিমালা লঙ্ঘন বা রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ পেলে কমিশন সংস্থাকে ১০ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলবে। জবাব সন্তোষজনক না হলে বা অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিবন্ধন বাতিল হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।
ভিওডি বাংলা/জা





