নবাবগঞ্জে ইউএনও’র নেতৃত্বে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ

অবৈধ বালু উত্তোলন প্রতিরোধে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও একের পর এক অভিযান পরিচালনা করা মোটেও সহজ কোনো কাজ নয়। এ ধরনের অভিযানে প্রয়োজন হয় যথেষ্ট শক্তি, সময়, জনবল এবং অনুকূল পরিবেশ। শুধু অভিযোগ জানালেই চলবে না—নিজস্ব ভূমি ও প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হলে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা এবং সক্রিয় প্রতিবাদের।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ জিল্লুর রহমান দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে এসব ভূমি খেকোদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে, আনসার, গ্রাম পুলিশ, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা অভিযানে অংশ নেন।
সর্বশেষ ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ০৬ টায় অভিযান পরিচালিত হয় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ৮ নং মাহমুদপুর ইউনিয়নের কবলিপাড়া এলাকাটি এতটাই নির্জন ও দুর্গম সেখানে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও উপজেলা প্রশাসনের টিম সেই বালুর পয়েন্টে প্রবেশ করে অভিযান চালায়।
অভিযানে ২টি শ্যালো ইঞ্জিন ও সারি সারি অবৈধ পাইপলাইনের সন্ধান মেলে, যা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন ও বিক্রয় চালানো হচ্ছিল বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে সবগুলো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এবং চারটি বালুবাহি ট্রাক আটক করা হয়।
ইউএনও জিল্লুর রহমান বলেন, “অবৈধ বালু উত্তোলন কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। যারা এ কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই কবলিপাড়া এলাকায় প্রভাবশালী চক্র বালু উত্তোলন করে বিপুল অর্থ উপার্জন করছিল। এতে একদিকে কৃষিজমি হুমকির মুখে পড়ছে, অন্যদিকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। অভিযানে তাদের স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এ ধরনের সাহসী অভিযানকে অনেকেই প্রশংসা করেছেন। সামাজিক সচেতনতা ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমেই কেবল অবৈধ বালু বাণিজ্য রোধ করা সম্ভব হবে বলে মত দিয়েছেন সচেতন মহল
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ







