• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

ঢাকা-১৩ আসনে অস্বস্তিতে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক    ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫৯ পি.এম.
আবদুস সালাম ও ববি হাজ্জাজ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার অন্যতম অপরাধপ্রবণ এলাকা মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৩ আসন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসনটিতে চলছে জমজমাট প্রচার-প্রচারণা। আবদুস সালামের মতো ত্যাগীদের বাদ দিয়ে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজকে প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ায় বেশ অস্বস্তিতে বিএনপি। এ সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুত জামায়াত।

আসনটিতে অনেক আগে থেকেই প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবদুস সালাম। কিন্তু হঠাৎ করে এ আসনে বিএনপি সমর্থিত জোটের একক প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেন ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। এতে কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে সালাম ও বিএনপির প্রচার-প্রচারণায়।

গত ১৫ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপি আয়োজিত পরিচিতি সভায় দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক বিএনপি জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ববি হাজ্জাজের নাম ঘোষণা করেন। দলের কঠিন সময়ে কর্মী-সমর্থকরা পাশে পেয়েছেন সালামকে। তিনিই এ আসনে বিএনপির কান্ডারি হবেন বলে আশা করেছিলেন তারা। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা এখনো প্রকাশ করেনি বিএনপি। তাই সালাম কিংবা অন্য কারও মনোনয়ন পাওয়া একেবারে শেষ হয়ে যায়নি বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।

আসনটিতে বিএনপি থেকে আরেকজন নেতার নামও শোনা যাচ্ছে। তিনি দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী। ববি হাজ্জাজ সামনে আসায় বিএনপিতে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। কর্মী-সমর্থকরাও দ্বিধাবিভক্ত।

জামায়াতের পক্ষে একটি দুর্নীতিহীন দেশ উপহার দেওয়া সম্ভব। মানুষের ধারণা ছিল অভ্যুত্থানের পরে ভালো একটা সমাজ হবে। কিন্তু মানুষ দেখলো কী, সেদিকে আমি যাচ্ছি না। সেদিক থেকে জামায়াতের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছে।-মো. মোবারক হোসাইন

বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত না হলেও এক্ষেত্রে অন্য সব আসনের মতো এগিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর প্রার্থী। দলের একক প্রার্থী হিসেবে মো. মোবারক হোসাইন প্রায় দিনই প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) মনোনীত প্রার্থী ফয়সাল তাহের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আসনটিতে। এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আকরাম হোসাইন এলাকায় সক্রিয়। তিনি খাল ও মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেছেন। সবমিলিয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে এ আসনে।

সরেজমিনে ঢাকার এ আসনটির বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। ভোটারদের মধ্যেও দীর্ঘদিন পর ভোট দেওয়ার আগ্রহ প্রবল। আসনজুড়ে আলোচনায় থাকা প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে ভোট চাওয়া শুরু করেছেন। এলাকায় আবদুস সালাম ও ববি হাজ্জাজের বড় বড় ব্যানার দেখা গেছে। জামায়াত প্রার্থীর ব্যানার-ফেস্টুন সংখ্যায় বেশি। এনসিপিসহ অন্য দল আলোচনায় থাকলেও কোনো ব্যানার চোখে পড়েনি।

এলাকার সাধারণ ভোটাররা বলছেন, মোহাম্মদপুর ও আদাবর অপরাধপ্রবণ এলাকা। যে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে প্রার্থী হিসেবে তাকে বেছে নেবেন তারা।

প্রার্থীরা বলছেন, নির্বাচিত হলে মোহাম্মদপুর এলাকায় সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবেন। কিশোর গ্যাংসহ সব অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করবেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে অপরাধীদের দৌরাত্ম্যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকার বাসিন্দারা। কয়েকটি এলাকায় নিরাপত্তার জন্য গঠিত টহল দলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও উঠেছে। অবশ্য পুলিশের দাবি, মোহাম্মদপুর ও আদাবরে অপরাধ আগের চেয়ে কমেছে।

জামায়াতের একক প্রার্থী দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবারক হোসাইন মাদক, সন্ত্রাস ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। তিনি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন, প্রচারণা চালাচ্ছেন। এলাকায় তার পোস্টার-ফেস্টুন প্রচুর।

জানতে চাইলে মো. মোবারক হোসাইন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি এলাকায় আছি। জনগণের সঙ্গে আগে থেকেই আমার কানেক্টিভিটি রয়েছে। এরপরেও স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদরাসায় যাচ্ছি। মানুষের কাছে গিয়ে জানতে পেরেছি তারা একটা পরিবর্তন চায়, নতুন কিছু দেখতে চায়। তারা দুর্নীতিহীন রাষ্ট্র দেখতে চায়। প্রথম চাওয়া এটা। সেই চাওয়ায় জামায়াতের প্রতি মানুষের আস্থা আছে।’

জানামতে বিএনপির দলীয় কোনো প্রার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় ব্যানারে এ আসনে প্রচারণা চালাচ্ছেন না। ঘরোয়া আলোচনা বা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় কে কি বলছে সেটা আমাদের ধর্তব্যের বিষয় নয়।-ববি হাজ্জাজ

তিনি বলেন, ‘জামায়াতের পক্ষে একটি দুর্নীতিহীন দেশ উপহার দেওয়া সম্ভব। মানুষের ধারণা ছিল অভ্যুত্থানের পরে ভালো একটা সমাজ হবে। কিন্তু মানুষ দেখলো কী, সেদিকে আমি যাচ্ছি না। সেদিক থেকে জামায়াতের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছে। ভালো কিছু আসবে ইনশাআল্লাহ।’

আসনটি থেকে বিএনপির আবদুস সালাম ও ববি হাজ্জাজের নাম শোনা যাচ্ছে। আপনি কাকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি থেকে যেই আসুক একটি হেলদি কমপিটিশন হোক এটাই চাই। মানুষের সঙ্গে আমি যতটা কানেকটেড হতে পারবো, অন্য এলাকা থেকে এসে এখানে কানেকটেড হওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার। মানুষ যাকে বিশ্বাস করতে পারবে তাকেই ভোট দেবে।’

নির্বাচিত হলে মোহাম্মদপুর-আদাবরে চুরি, ছিনতাই, খুনের মতো ঘটনা কমাতে পারবেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘নির্বাচিত হই বা না হই সমাজের অপরাধগুলো একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে যেমন টাচ করে তেমনি একজন সাধারণ মানুষকেও টাচ করে। বিগত কয়েক মাসে মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি আমি নির্বাচিত হই বা না হই কিশোর গ্যাং, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। আমার নজরে এলে মাঝে মধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে আমি কথা বলি।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবদুস সালাম দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-১৩ আসনে প্রচার-প্রচারণা চালালেও নতুন করে এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নাম সামনে আসায় ধোঁয়াশায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপির যেসব নেতাকর্মী আবদুস সালামের সঙ্গে ছিলেন তারা এখন অনেকটা দ্বিধায় রয়েছেন কে পাবেন দলীয় মনোনয়ন। তবে নেতাকর্মীরা বলছেন, দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হোক তার পক্ষেই কাজ করবেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের একজন নেতা বলেন, ‘দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই কাজ করবো। এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।’

বিএনপিকর্মী রবিউল ইসলাম  বলেন, ‘এলাকায় অনেক দিন ধরে আবদুস সালাম ভাই কাজ করছেন। সুখ-দুঃখে তাকে আমরা সব সময় পাই। কিন্তু হঠাৎ করে ববি হাজ্জাজের নাম শুনে অনেকটাই অবাক। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের শাসনামলে আবদুস সালাম ভাই হামলা, মামলা ও জেল খেটেছেন। আশা করি দল তাকে মূল্যায়ন করবে।’

শ্যামলী কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন  বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি বিএনপির সাপোর্টার। গত তিনবার ভোট দিতে পারিনি। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাকেই ভোট দেবো।’

কৃষি মার্কেটের ১০ বছর ধরে ব্যবসা করছেন আজিজুর রহমান। তিনি  বলেন, ‘বিএনপি থেকে আবদুস সালাম ও ববি হাজ্জাজের নাম শোনা যাচ্ছে। দুজনই প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াতের মোবারক হোসাইনও আছেন প্রচারণায়। আমরা ব্যবসায়ীরা এমন একজনকে নেতা বানাতে চাই যে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে লড়তে পারবে। ব্যবসায়ীদের যেন চাঁদা না দেওয়া লাগে সেজন্য এমপি কাজ করবেন সেই প্রত্যাশা রাখি।’

ববি হাজ্জাজের বাবা আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তি প্রিন্স মুসা বিন শমসের। ববি হাজ্জাজের শিক্ষাজীবনও বেশ বর্ণাঢ্য। পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেশে ফিরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেন। ২০১২ সালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে শুরু হয় ববি হাজ্জাজের রাজনৈতিক জীবন। ২০১৭ সালের এপ্রিলে গঠন করেন নিজের রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। বর্তমানে তিনি এই দলের চেয়ারম্যান।

আপনি ঢাকা-১৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। আসনটি থেকে বিএনপির হয়ে মনোনয়ন পাবেন বলে মনে করেন, কী কারণে আপনাকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে? ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘জানামতে বিএনপির দলীয় কোনো প্রার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় ব্যানারে এ আসনে প্রচারণা চালাচ্ছেন না। ঘরোয়া আলোচনা বা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় কে কি বলছে সেটা আমাদের ধর্তব্যের বিষয় নয়।’

মোহাম্মদপুর-আদাবর অপরাধপ্রবণ এলাকা। আপনি নির্বাচিত হলে অপরাধ দমনে কী পদক্ষেপ নেবেন জানতে চাইলে বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে। আমি প্রচারণা শুরুর সময় থেকেই এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। নির্বাচিত হলে নিরাপদ মোহাম্মদপুরের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা আমার প্রতিশ্রুতি। ভূমিদস্যু ও কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদের তালিকা করা হচ্ছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরও খুঁজে বের করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘মধ্যরাতেও একজন তরুণী যেন মহল্লা বা বসিলার সড়ক যে কোনো স্থানে একা চলাচল করতে পারে সেটা নিশ্চিত করা হবে। পুলিশের নিয়মিত টহল বৃদ্ধি, প্রতিটি কোণে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, কমিউনিটি পুলিশিং, স্বেচ্ছাসেবক টিম তৈরি, সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন ইত্যাদি ছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এ এলাকায় নিয়মিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

মোহাম্মদপুরে খালের চিত্র খুবই করুণ। খাল-রাস্তাঘাটসহ এলাকার উন্নয়নে কী ধরনের ভূমিকা রখাবেন। এ বিষয়ে ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে কাজ করতে হবে। সিটি করপোরেশনেরও কিছু দায়িত্ব আছে। বেদখল হওয়া খাল, নালা উদ্ধার করতে হবে। খালের পানি পরিষ্কার করতে হবে। এর আগে অলিগলিতে রাস্তাঘাট নির্মাণে নানক-সাদেক খানরা ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন। এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।’

এলাকাবাসীর মাথাব্যথা আইনশৃঙ্খলা

সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। দিনে-দুপুরে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ গুলি করে খুনের ঘটনাও ঘটে। এলাকার সাধারণ ভোটারদের চাওয়া মোহাম্মদপুরে যেন সবাই শান্তিতে বসবাস করতে পারেন।

শেখেরটেকের মুদি দোকানি কবির হোসেন  বলেন, ‘এলাকার অলিগলিতে মাদকে সয়লাব। উঠতি বয়সী ছেলেরা মাদক, চুরি, ছিনতাইয়ের সঙ্গে খুব সহজেই জড়িয়ে পড়ে। এসব থেকে মুক্ত হওয়া দরকার।’

ঢাকা উদ্যান এলাকার বাসিন্দা দিদার মাহবুব  বলেন, ‘চাঁদাবাজ-দুর্নীতিমুক্ত সমাজ দেখতে চাই। যারা চাঁদাবাজ-দুর্নীতিমুক্ত সমাজ দিতে পারবে তাকেই ভোট দেবো।’

লালমাটিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা মোখলেসুর রহমান  বলেন, ‘নির্বাচনে যে প্রার্থী কিশোর গ্যাং ও ইভ টিজিংয়ের বিরুদ্ধে লড়তে পারবে তাকেই ভোট দিয়ে জয়ী করবো আমরা। কোনো অপরাধ মোহাম্মদপুরে দেখতে চাই না।’

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: শামসুজ্জামান
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: শামসুজ্জামান
‘সড়ক দুর্ঘটনা এখন জাতির স্থায়ী অভিশাপ’: কাদের গনি চৌধুরী
‘সড়ক দুর্ঘটনা এখন জাতির স্থায়ী অভিশাপ’: কাদের গনি চৌধুরী
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সুপারিশ একপেশে : মির্জা ফখরুল
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সুপারিশ একপেশে : মির্জা ফখরুল