চরমপন্থা-রাষ্ট্রবহির্ভূত সশস্ত্র গোষ্ঠী বিশ্বব্যাপী হুমকিস্বরূপ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

চরমপন্থা এবং রাষ্ট্রবহির্ভূত সশস্ত্র গোষ্ঠী ক্রমবর্ধমানভাবে বিশ্বব্যাপী হুমকিস্বরূপ এবং তাদের মোকাবেলায় সংহতির প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
গত ৩১ অক্টোবর বাহরাইনে ২১তম আইআইএসএস মানামা সংলাপে "অ-রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এবং প্রভাব: আঞ্চলিক এবং আন্তঃজাতীয় চ্যালেঞ্জ" শীর্ষক বিশেষ অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, চরমপন্থা এবং রাষ্ট্রবহির্ভূত সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আন্তঃজাতীয় নেটওয়ার্ক মোকাবেলায় বর্ধিত গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি, শক্তিশালী সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং কার্যকর আর্থিক তদারকির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রবহির্ভূত শক্তিগুলো উগ্রপন্থী এজেন্ডা এগিয়ে নিতে সীমান্ত, অবৈধ বাণিজ্য, স্থানচ্যুতি এবং ডিজিটাল স্থানগুলিকে কাজে লাগায়।
উপদেষ্টা আরও বলেন, “চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই শেষ পর্যন্ত সকল শ্রেণীসম্প্রদায় এবং আমাদের তরুণদের মনেই জয়ী হবে।”
বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি জানান, কোনো রাষ্ট্রবহির্ভূত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দেশের অভ্যন্তরে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি নেই। এছাড়া দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ এখনও মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১৩ লক্ষেরও বেশি মানুষকে আশ্রয় দিচ্ছে, যারা সামরিক বাহিনী এবং রাষ্ট্রবহির্ভূত সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিপীড়ন থেকে পালিয়েছে।
উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত জনগোষ্ঠীর নিরাপদ, স্বেচ্ছাসেবী ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে। তিনি সতর্ক করে বলেন, দীর্ঘস্থায়ী অনিশ্চয়তা এই জনগোষ্ঠীকে শোষণের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।
এ সময় ইইউ ও ন্যাটোসহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মন্ত্রী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. রইস হাসান সারোয়ার, এনডিসি, এবং মহাপরিচালক (পশ্চিম এশিয়া) মো. হুমায়ুন কবিরও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ভিওডি বাংলা/জা







