অনিয়ম প্রমাণিত হলে বাতিল হবে আদানির চুক্তি : বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

আদানির সঙ্গে সম্পাদিত বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে যদি কোনও অনিয়ম বা দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়, সরকার তা বাতিলে দ্বিধা করবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
রোববার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’-এর অধীনে সম্পাদিত চুক্তিগুলো পর্যালোচনার জন্য গঠিত জাতীয় কমিটির সঙ্গে সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে যে কোনও দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু যদি প্রমাণিত হয়, সরকার চুক্তি বাতিল করবে। মুখের কথা আদালতে টিকবে না, যথাযথ প্রমাণ ও আইনি কারণ থাকতে হবে।’
কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোশতাক হোসেন খান বলেন, ‘এসব চুক্তি সার্বভৌম চুক্তি হওয়ায় ইচ্ছেমতো বাতিল করা যায় না।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, চুক্তি বাতিল করা হলে আন্তর্জাতিক আদালতে সরকারের বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের জরিমানা আসতে পারে।
তিনি আরও জানান, ‘বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে মূল্যে। বর্তমানে বিদ্যুতের দাম প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি, ভর্তুকি তুলে নিলে তা ৪০ শতাংশ ছাড়াবে।’
অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘২০১১ থেকে ২০২৪ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে চার গুণ, কিন্তু অর্থ পরিশোধ বেড়েছে ১১ গুণের বেশি—৬৩৮ মিলিয়ন ডলার থেকে ৭.৮ বিলিয়ন ডলারে। এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি টেকনিক্যাল নয়।’
অন্যদিকে ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘চুক্তি বাতিলের আইনি কারণ থাকলেও আন্তর্জাতিক আদালতে গেলে পাঁচ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের দাবি উঠতে পারে। তাই সরকারকে সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
সভায় বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিটির অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ



