• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বিএনপি-জামায়াতের মুখোমুখি দুই ভাই

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি    ৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৩ পি.এম.
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বিএনপি-জামায়াতের মুখোমুখি দুই ভাই। সংগৃহীত ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারী-চিলমারী-রাজীবপুর) আসনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী থেকে আপন দুই ভাই মনোনয়ন পেয়েছেন— যা স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর গুলশানে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এতে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রৌমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়।

অপরদিকে, জামায়াতে ইসলামী একই আসনে প্রার্থী করেছে রৌমারী উপজেলা কমিটির সাবেক আমির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে— যিনি আজিজুর রহমানের ছোট ভাই।

এমন অভাবনীয় পারিবারিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এখন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। চায়ের দোকান থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—সবখানেই দুই ভাইয়ের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৩৮ হাজার ৪১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৮ হাজার ৭১১ জন, নারী ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৬৯২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন নয়জন।

এলাকার এক প্রবীণ রাজনৈতিক কর্মী বলেন, ‘রৌমারী-চিলমারী-রাজীবপুরে এমন দৃশ্য এই প্রথম। ভাইয়ের বিপরীতে ভাই—এটি নির্বাচনি মাঠে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।’

জামায়াত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, ‘আমার বড় ভাই বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন। তবে তিনি মনোনয়ন পেলেও আমাকে হারাতে পারবেন না। জামায়াতের জনপ্রিয়তা এখন অনেক বেড়েছে।’

অন্যদিকে বিএনপির আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমার ছোট ভাই একসময় বিএনপি করত, পরে জামায়াতে যোগ দেয়। আমি প্রার্থী হওয়ায় সে আর এককভাবে নির্বাচনে সুবিধা নিতে পারবে না। জনগণ আমাকেই চাইছে।’

ভিওডি বাংলা/ আরিফ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অযত্নে–অবহেলায় হরিপুর শিশুপার্কের বেহাল দশা
অযত্নে–অবহেলায় হরিপুর শিশুপার্কের বেহাল দশা
বগুড়ায় তারেক রহমানের শ্বশুরের ৯১ তম জন্ম বার্ষিকী পালিত
বগুড়ায় তারেক রহমানের শ্বশুরের ৯১ তম জন্ম বার্ষিকী পালিত
ঘুমন্ত শিশুর বুকে ছুরি চালিয়ে আত্মগোপনে বাবা
ঘুমন্ত শিশুর বুকে ছুরি চালিয়ে আত্মগোপনে বাবা