মনোনয়ন চাপে বিএনপি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে মনোনয়ন নিয়ে দলীয় ক্ষোভ ও অসন্তোষে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। মনোনয়ন বঞ্চিত নেতারা এখনো প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, তাদের অনুসারীদের ক্ষোভ রাজপথে ফুটে উঠেছে। এরই মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
দলীয় সূত্র জানায়, প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকা প্রকাশের পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে বিএনপির হাইকমান্ড। প্রয়োজনে প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন আনা হতে পারে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
গত সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এই তালিকায় দেখা গেছে, বিএনপির হেভিওয়েট ও পরিচিত অনেক নেতা বাদ পড়েছেন-যেমন ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, আসলাম চৌধুরী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রুমিন ফারহানা, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আরিফুল হক, আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।
দলীয় সিদ্ধান্তে নাম না থাকায় অনেক নেতার কর্মী-সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, এমনকি রাজপথে বিক্ষোভও করেছেন। যদিও বঞ্চিত নেতারা এখনো গণমাধ্যমে সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানাননি, তবে ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে হতাশার কথাও জানিয়েছেন কেউ কেউ।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘প্রকাশিত তালিকাটি প্রাথমিক পর্যায়ের। সময়ের সঙ্গে তালিকায় পরিবর্তন আসতে পারে। তাই এখনই চূড়ান্ত বলা যাবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, “ঘোষিত তালিকাটি সম্ভাব্য প্রার্থীদের। প্রয়োজনে স্থায়ী কমিটি নতুন করে অদলবদল করতে পারে। চূড়ান্ত তালিকা হবে তফসিল ঘোষণার পর।”
এদিকে, ঘোষিত তালিকার ২৩৭ আসনের মধ্যে মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থীর নাম ইতোমধ্যে স্থগিত করেছে বিএনপি। ফলে ৩০০ আসনের মধ্যে ৬৪টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা বাকি রয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, এর মধ্যে ৪০টি আসন শরিকদের দেওয়া হতে পারে এবং বাকিগুলোতে এখনো মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থী বাছাই চলবে।
দলীয় নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, বাদ পড়া হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যেও কেউ কেউ শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পেতে পারেন।
ভিওডি বাংলা






