ইসির ফটকে রাত কাটালেন তারেক রহমান

রাজনৈতিক দল হিসেবে আম জনতার দল নিবন্ধন না পাওয়ায় দলটির সদস্য সচিব তারেক রহমান দ্বিতীয় দিনের মতো নির্বাচন ভবনের সামনে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকাল থেকে শুরু করে বুধবার (৫ নভেম্বর) এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি তার অবস্থানে অনড় রয়েছেন।
তারেক তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনের প্রধান ফটকের এক পাশে বসে আছি। সহযোদ্ধাদের এখানে আসতে দেই না, যাতে গেটে যাওয়া আসার সমস্যা না হয়। কিন্তু তারা এই গেট পুরোপুরি লক করে অন্য পাশের পকেট গেট দিয়ে যাওয়া আসা করছেন। পকেট গেটের পাশে বসলে আবার এটা খুলে দিচ্ছে। আবার এখানে এক পাশে বসলে অন্যটা খুলে দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এখনো সুস্থ আছি, এই অনশন নির্বাচন কমিশনের জুলুমের বিরুদ্ধে অনশন।’
মঙ্গলবার তিনটি নতুন দল- জাতীয় নাগরিক পার্টি, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্কবাসী) নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান ইসি সচিব আখতার আহমেদ। এরপরই তারেক নিজের দলের নাম তালিকায় না পেয়ে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মূল ফটকের সামনে অনশনে বসেন। তার দলটি অধিকতর তদন্তে বাদ পড়ে।
তার হাতে ‘নিবন্ধনের দাবিতে আমরণ অনশন’ লেখা প্ল্যাকাড দেখা গেছে।
তারেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘কী কারণে আমাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি, এটা আমাদের জানা নেই। ইসি কোনো কারণও উল্লেখ করেনি। নিবন্ধন না পাওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে থেকে নড়বো না।’
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্ধারিত সময়ে ১৪৩টি দল আবেদন করে জুনে; এরপর প্রাথমিক বাছাইয়ে ঝরে পড়ে ১২১টি আবেদন।
এরপর ২২টি দলের সরেজমিন তদন্ত হয়। তাতেই নিবন্ধন অযোগ্য সাতটি দল- ফরওয়ার্ড পার্টি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) বা সিপিবি (এম), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ, বাংলাদেশ সলিউশন পার্টি, নতুন বাংলাদেশ পার্টি, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি।
বাকি দলগুলোর মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়, কমিটিসহ অন্যান্য শর্ত তদন্ত করা হয়।
সবশেষ বাদ পড়ল যে ১১ দল:
আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), জাতীয় জনতা পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ।
অপরদিকে, বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টিকে আদালত নিবন্ধন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়ায় আদেশের কপির অপেক্ষায় রয়েছে ইসি।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচপি





