প্রাণের নেতা মিনুকে পেয়ে উজ্জীবিত বিএনপির তৃণমূল

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
সোমবার বিকেলে মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষণাকৃত তালিকা অনুযায়ী, রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু।
প্রত্যাশা অনুযায়ী মনোনয়নের খবর প্রকাশ হতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আনন্দ মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শুভেচ্ছা আর কৃতজ্ঞতার বন্যা বয়ে যায়। ফেসবুক পোস্টে অনেকে লেখেন “মিনুর হাত ধরেই ধানের শীষের জয় আসবে রাজশাহীতে।” রাজশাহী মহানগর বিএনপির তৃণমূল উজ্জীবিত প্রাণের নেতা মিনুকে পেয়ে।
মোটরসাইকেল র্যালী এবং ধানের শীর্ষের প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে নগরীর বিভিন্ন অলি-গলিতে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পথসভায় মিনুর পক্ষে অংশ নিচ্ছে ওয়ার্ড বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা জানান মিজানুর রহমান মিনু মনোনয়ন পাওয়াই তারা খুশি। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষকে জয়যুক্ত করতে তারা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল হক বলেন, “আমরা আগে থেকেই আশা করছিলাম মিনু ভাই মনোনয়ন পাবে। দল আমাদের নিরাশ করেনি। আমরাও সামনের নির্বাচনে দলকে নিরাশ করবো না। ধানের শীষ কে জয়যুক্ত করতে মিনু ভাইয়ের নির্দেশে কাজ করবো এবং বিপুল ভোটে তাকে জয়যুক্ত করবো।”
শাহমখদুম থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন বলেন,“মিনু ভাই যোগ্য লোক। যোগ্য হিসেবেই তিনি ধানের শীষের পক্ষে মনোনয়ন পেয়েছেন। আমরা তৃণমুলের পক্ষ থেকে মিনু ভাইকেই চেয়েছিলাম। সামনে আমাদের কঠিন পথ। দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষকে বিজয় করার লক্ষ্যে কাজ করবো আমরা।”
রাজশাহী মহানগর সংবাদপত্র হকার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল হোসেন বলেন,“মিনু ভাইয়ের সাথে আমি ১৯৮৪ সাল থেকে রাজনীতি করে আসছি। রাজশাহী-২ আসনে মিনু ভাইয়ের কোন বিকল্প নেই। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মিনু ভাইয়ের জয়ের লক্ষ্যে আমরা নগরীর প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে ধানের শীষের পক্ষে কাজ শুরু করে দিয়েছি। আশা করছি সামনের নির্বাচনে আমাদের জয় সুনিশ্চিত।”
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল মাসুদ বলেন,“আমাদের এই আসনে মিনু ভাই ছাড়া যদি অন্য কেউ মনোনয়ন পেত তাহলে ধানের শীষের জয় পেতে বেগ পেতে হতো। মিনু ভাই মনোনয়ন পাওয়ায় আমরা তৃণমূল বিএনপি খুশি। ভাইয়ের একডাকে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করবো।”
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মিজানুর রহমান মিনু রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিবসহ দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তিনবারের মেয়র ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে আছেন।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে মিনু’র ভূমিকা ছিল সম্মুখসারিতে। হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের মাঝেও তিনি রাজশাহীর রাজনীতিতে বিএনপিকে ধরে রেখেছেন সামনে থেকে। এমনকি ফ্যাসিস্ট সময়েও তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজপথে ছিলেন অটল ও সাহসী।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে, রাজশাহীর রাজনীতিতে মিজানুর রহমান মিনু শুধু একজন নেতা নন, বরং আস্থার প্রতীক। বিপদে-আপদে তিনি নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন। মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে রাজশাহী বিএনপিতে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য ও ঐক্যের আবহ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাজশাহীর রাজনীতিতে মিজানুর রহমান মিনুর প্রত্যাবর্তন বিএনপিকে নতুন করে শক্তি দেবে। তৃণমূলের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হওয়ায় নেতাকর্মীদের মুখে এখন একটাই স্লোগান ‘মিনু ভাইয়ের বিকল্প নাই’।
ভিওডি বাংলা/মো. রমজান আলী/জা







