লেবাননের চার শহরে ইসরায়েলের বিমান হামলা

দখলদার ইসরায়েলি বিমানবাহিনী লেবাননের চারটি শহরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আগাম ঘোষণা দিয়েই এই হামলা শুরু করে তারা। লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ও ঘাঁটি।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের আয়তা আল-জাবাল, তায়বেহ ও তায়ের দেব্বা শহরে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরই জাওতার আল-শারকিয়া এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, এরপর সেখানে শুরু হয় বিমান হামলা।
স্থানীয় সূত্র বলছে, হামলার আগে থেকেই ইসরায়েলি বাহিনী কয়েকটি শহরে “খালি করার নির্দেশ” দেয়, যা আসন্ন বড় আকারের অভিযানের ইঙ্গিত বহন করছিল।
২০২৪ সালে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও, তেল আবিব সেই চুক্তি নিয়মিতভাবে লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ৩৫০ জনের বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
গতকালও হিজবুল্লাহর এলিট রেদওয়ান ফোর্সের এক কমান্ডারকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলা চালায়। বিশ্লেষকদের মতে, হিজবুল্লাহ যেন সীমান্তে পুনরায় সংগঠিত হতে না পারে, সেজন্যই এই হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। পাশাপাশি লেবানন সরকারকেও চাপ দিচ্ছে হিজবুল্লাহর অস্ত্র সমর্পণের জন্য।
যুদ্ধবিরতির পর থেকে হিজবুল্লাহ সরাসরি পাল্টা হামলা না চালালেও, তারা লেবানন সরকারের মাধ্যমে ইসরায়েলকে চুক্তি মেনে চলার জন্য চাপ দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর, সংহতির অংশ হিসেবে হিজবুল্লাহ সীমান্তে বিক্ষিপ্ত হামলা চালায়। ২০২৪ সালের মাঝামাঝিতে দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ হয় এবং বছরের শেষ দিকে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায় তারা।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ







