কক্সবাজার রানওয়েতে কুকুরের আঘাত, পাইলটের দক্ষতায় রক্ষা পেল যাত্রী

আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রূপান্তর কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। একবার ‘আন্তর্জাতিক’ স্বীকৃতি দিলেও পরে প্রশাসনিক জটিলতার অজুহাতে তা স্থগিত করা হয়। এরই মাঝে রানওয়েতে কুকুর প্রবেশের মতো অব্যবস্থাপনা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়নের সময় রানওয়েতে থাকা একটি কুকুরের সঙ্গে ধাক্কায় পড়লে তৎক্ষণাত উড্ডয়ন বাতিল করে দেন পাইলট। তার দক্ষ সিদ্ধান্তে ৭০ জন যাত্রী নিশ্চিত দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কক্সবাজারের ইনচার্জ আহমদ মুসা জানান, ঢাকাগামী বিএস ১৫৮ ফ্লাইট সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে টেক-অফের প্রস্তুতিকালে আঘাতজনিত শব্দ অনুভব করলে পাইলট তাৎক্ষণিক উড়োজাহাজ থামিয়ে পার্কিংয়ে ফেরত আনেন। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি এবং ঘটনাটি রানওয়েতে কুকুর প্রবেশের কারণেই ঘটেছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
ঘটনার পর সন্ধ্যা ৭টা ৩১ মিনিটে পুনরায় ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে এবং রাত সাড়ে ৮টার দিকে, নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে, নিরাপদে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরের পরিচালক গোলাম মুর্তজা জানান, দুর্ঘটনার পরপরই রানওয়ে থেকে কুকুর সরিয়ে নেওয়া হয় এবং রানওয়ে স্বাভাবিক করা হয়। উড়োজাহাজ বা যাত্রী-কেউই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
তবে রানওয়েতে বারবার কুকুর প্রবেশজনিত নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি।
বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পশ্চিম পাশ থেকে কুকুর প্রবেশ করছে। ওই এলাকায় নির্মাণকাজ চলমান থাকায় সন্ধ্যার পর রানওয়েতে কুকুর প্রবেশ বেড়ে গেছে। অপর্যাপ্ত আলোয় কুকুর শনাক্ত করা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। ইতোমধ্যে নজরদারি ও সতর্কতা ব্যবস্থা বাড়ানো হলেও স্থায়ী সমাধান এখনো দৃশ্যমান নয় বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ আগস্টও কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়েতে কুকুরের সঙ্গে উড়োজাহাজের ধাক্কা লাগার আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল।
ভিওডি বাংলা/জা







