পটুয়াখালীতে বিএনপি-গণঅধিকার নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, আহত ৪০

পটুয়াখালীর গলাচিপায় মনোনয়ন নিয়ে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩১ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের কপালবেড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে বিএনপির কর্মী ও সমর্থকরা হলেন- ইলিয়াস রাড়ী, সলেমান রাড়ী, রায়হান রাড়ী, ইয়াকুব রাড়ী, কুদ্দুস ব্যাপারী, নূরনবী রাড়ী, সবুজ রাড়ী, রিয়াজ রাড়ী, সজিব রাড়ী, আবু সালেম রাড়ী, ইব্রাহীম রাড়ী, মোসা. ফাহিমা রাড়ী, সাইফুল রাড়ী, সাখাওয়াত রাড়ী, মোসা. তাসলিমা, ওমর রাড়ী ও হাসান রাড়ী। এদের মধ্যে ৯ জন গুরুতর আহত হয়ে গলাচিপা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।
অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের আহত কর্মী-সমর্থকরা হলেন- আজমির খলিফা, শাহাবুল খলিফা, আমেনা বেগম, নাইম খলিফা, সোহেল খলিফা, নজরুল খলিফা, নোমান খলিফা, মাহিন খলিফা, ফারুক খলিফা, আরিয়ান খলিফা, রাতুল খলিফা, ইমরান খলিফা, মোসা. মাহিনুর বেগম ও নবীন খলিফা। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আজমির খলিফা, শাহাবুল খলিফা, আমেনা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) পাঠানো হয়েছে।
চরকাজল ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস রাড়ী বলেন, শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিএনপির প্রোগ্রাম উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে বাজারে শুভেচ্ছা মিছিল শেষ করে আমরা বাড়ি ফিরছিলাম। তখন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা আমাদের দলীয় লোকজনের ওপর হামলা চালায়। আমি নেতাকর্মীদের বলেছিলাম, মামুন ভাই শুক্রবার আসবেন, তার প্রোগ্রামের পর দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা কাজ করব; কিন্তু ওরা বলল, মামুন ভাই নাকি নমিনেশন পাবেন না, গণঅধিকার পাবে। এই কথা বলেই আমাদের ওপর হামলা চালায়।
অন্যদিকে চরকাজল ইউনিয়নের যুবঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফ গাজী বলেন, আমরা গণঅধিকার পরিষদের সভা শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। বিএনপির কর্মীরা আমাদের ডাক দিয়ে হামলা শুরু করে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপি দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করায় পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে বিএনপি ও গণঅধিকারের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গলাচিপা থানার ওসি আশাদুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছি, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আহতদের দেখতে রাতেই হাসপাতালে যান বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হাসান মামুন। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঠিক তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, একটি আবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। এ পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ





