আজ থেকে শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের লাগাতার অবস্থান

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। বেতন বৈষম্য নিরসন, ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন ও পেশাগত মর্যাদা প্রতিষ্ঠা-এই তিন দফা দাবিতে কঠোর আন্দোলনে নেমেছেন তারা।
চারটি শিক্ষক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে। সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
কর্মসূচি ঘোষণার সময় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি বলেন, “শনিবার থেকে শহীদ মিনারে ২০ হাজার শিক্ষক অবস্থান নেবেন, দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা সেখানেই থাকব।”
বর্তমানে দেশের ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন। গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত গ্রেড উন্নীতকরণে প্রধান শিক্ষকদের ১০ম ও সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেড দেওয়ার কথা জানালেও এতে সহকারী শিক্ষকরা সন্তুষ্ট নন।
এর আগে ১১তম গ্রেডের দাবি জানানো হলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবার সরাসরি ১০ম গ্রেডের দাবিতে মাঠে নেমেছেন তারা। তৃতীয় ধাপে নিয়োগ পাওয়া নবনিযুক্ত সহকারী শিক্ষকরাও আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছেন। তাদের পক্ষে মো. মহিব উল্লাহ বলেন, “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”
শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, “পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর, নার্স, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ১০ম গ্রেড পান। অথচ উচ্চশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকরা বছরের পর বছর বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।”
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের পক্ষে সরকারের কাছে যে ৩টি প্রধান দাবি উত্থাপন করা হয়েছে-দশম গ্রেড প্রদান, ১০ বছর ও ১৬ বছর চাকরি পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান সংক্রান্ত জটিলতা ও সমস্যার স্থায়ী সমাধান ও সহকারী শিক্ষকদের জন্য শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা প্রদান।
দাবিদাওয়ার সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে শিক্ষক নেতারা বলেন, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর, সিনিয়র স্টাফ নার্স, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা পান। অথচ, সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বারবার উপেক্ষিত।
ভিওডি বাংলা/জা





