বায়ুদূষণে বিশ্বে তৃতীয় ঢাকা, শীর্ষে দিল্লি

জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবসৃষ্ট নানা কারণে বিশ্বজুড়ে বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। দীর্ঘদিন ধরেই দূষণের শীর্ষ তালিকায় নাম রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার-এর সর্বশেষ তথ্যমতে, ১৯১ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে।
এদিন ৬৪৩ স্কোর নিয়ে দূষণের শীর্ষে অবস্থান করছে ভারতের দিল্লি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, যেখানে স্কোর ৩৪৩। এছাড়া ১৮৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কুয়েত সিটি এবং ১৮০ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে মিশরের রাজধানী কায়রো।
আইকিউএয়ার মূলত এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই)-এর মাধ্যমে বিভিন্ন শহরের বায়ুর মান নির্ধারণ করে থাকে এবং এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যঝুঁকির মাত্রাও জানিয়ে দেয়।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় বা মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।
১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো-ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বেড়ে গেছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
ভিওডি বাংলা/জা



