৩৬ দেশের নাগরিক রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধে

রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে ভিনদেশি যোদ্ধারা— এমন দাবি অনেক দিন ধরেই করে আসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এবার সেই দাবিকে আরও জোরালো করে ইউক্রেন জানিয়েছে, আফ্রিকার ৩৬টি দেশের এক হাজার চারশরও বেশি নাগরিক রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন।
শুক্রবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই সাইবিহা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে বলেন, “রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে বিদেশি নাগরিকদের কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই সম্মুখসমরে পাঠানো হচ্ছে। আফ্রিকার নাগরিকদের সামরিক চুক্তির প্রলোভন দেখিয়ে যুদ্ধে নামানো হচ্ছে, অথচ যথাযথ প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তারা এক মাসের বেশি বাঁচতেও পারছেন না।”
তিনি আফ্রিকার দেশগুলোর উদ্দেশে আহ্বান জানান, “নাগরিকদের সতর্ক করুন— তাদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলে রাশিয়া এই যুদ্ধে ব্যবহার করছে।”
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের এই দাবিটি পুরোপুরি অমূলক নয়। আফ্রিকার কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে স্বীকার করেছে যে, তাদের নাগরিকরা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার জানিয়েছে, তাদের অন্তত ১৭ জন নাগরিক রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনীতে যোগ দিয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। কেনিয়াও একই ধরনের তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে দেশগুলো দাবি করেছে, তাদের নাগরিকদের প্রলোভন বা প্রতারণার মাধ্যমে রুশ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়াও জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার সেনারা রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেনে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করছে। এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকেও নাগরিকদের রুশ সেনাদলে যোগ দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ







