আগামী নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন তপু রায়হান

"আমি কোনো প্রথাগত রাজনীতি করতে আসিনি," ঘোষণা দিয়ে ঢাকা-১৭ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০২৬) প্রার্থী হওয়ার কথা জানালেন দেশের প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা, চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক শহীদ জহির রায়হানের পুত্র তপু রায়হান।
রোববার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাঁর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী এবং নির্বাচনী কৌশল তুলে ধরেন।
তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার মূল প্রতিপাদ্য হলো 'আমি থেকে আমরা, সহযোগিতা হোক রাজনীতির নতুন ভাষা'।
তপু রায়হান বলেন, আমাদের দরকার দূর্ণীতিমুক্ত, দলীয়করণমুক্ত, রাজনৈতিক এজেন্ডামুক্ত সত্যিকারের জনকল্যানমুখী, সৃজনশীল একটি সরকার ও তার প্রশাসন।
তিনি বলেন, আমার বাবা জহির রায়হান রাজনৈতিক সচেতন হলেও কোনো দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন না, যা তাঁর বিখ্যাত উক্তি "I don't belong to any political party"-এ প্রতিফলিত। বাবার মানবতাবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে ধারণ করে সংসদীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ না হয়েও মানবকল্যাণমুখী রাজনীতি করা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি।
তপু রায়হান ঢাকা-১৭ (গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট, শাহজাদপুর, ভাষানটেক, মহাখালী) আসন থেকে নির্বাচন করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, এই এলাকার সমস্যা সমাধানে আমি এলাকাভিত্তিক ইশতেহার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। কড়াইল বস্তির মতো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষের সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর কার্যকর মডেল তৈরির চেষ্টা করছি।
তপু রায়হান বলেন, আমি নিজে এবং আমার দল কড়াইল বস্তিসহ ঢাকা-১৭-এর অনেক এলাকা পরিদর্শন করেছি। কাজের অগ্রগতি জানাতে চালু করা হয়েছে 'আমি থেকে আমরা' এবং 'সময়ের প্রয়োজনে' নামক দুটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।
তপু রায়হান বলেন, এই মাসেই এলাকাভিত্তিক ইশতেহারগুলি প্রকাশ করা হবে। এই ইশতেহার নিয়ে সকল প্রার্থীর কাছে যাবো এবং তাদের সহযোগিতা চাইবো।
তিনি বলেন, আমি জয়ী হই বা না হই, নির্বাচনের পর ঢাকা-১৭ আসনে যিনিই এমপি হন, এলাকার উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে আমি তার সঙ্গে একসাথে কাজ করে যাবো। এই সহযোগিতামূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতিই আমার নির্বাচনী প্রচারণার মূল ভিত্তি।
তপু রায়হান বলেন, সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি উপদেষ্টামন্ডলী তৈরির চেষ্টা করছি। নীতি (পলিসি) তৈরি, বাজেট প্রণয়ন এবং কাজ শুরু করার প্রতিটি ধাপে এই কমিটি আমাকে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে সরাসরি জানানো এবং তাদের মতামত নিয়ে কাজ করলে "সত্যিকারের সাফল্যের এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা" সম্ভব।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ





