অনশনে অসুস্থ তারেকের কাছে ছুটে গেলেন ইশরাক

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় ‘আমজনতার দল’-এর সাধারণ সম্পাদক, তরুণ নেতা তারেক রহমান টানা ১২৫ ঘণ্টা ধরে আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ইসির প্রধান ফটকের সামনে শুয়ে থাকা অবস্থায় তাকে দেখা যায়। টানা অনশনের কারণে তার রক্তচাপ আশঙ্কাজনকভাবে নেমে গেছে এবং তাকে ইতোমধ্যে চারটি স্যালাইন পুশ করা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তিনি এখন স্বাভাবিকভাবে কথা বলতেও পারছেন না, কেবল ইশারা-ইঙ্গিতে মনের ভাব প্রকাশ করছেন।
এদিকে, অনশনরত তারেক রহমানকে রোববার দুপুরে দেখতে ছুটে যান বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তারেক রহমানের এই কঠিন মুহূর্তে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে এবং গণতন্ত্র ও নিবন্ধনের ন্যায্য প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনের নীরবতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংগ্রামী তরুণ নেতা তারেক রহমান বর্তমানে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণরত অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন। তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এই কঠিন মুহূর্তে আমজনতার দল দেশবাসীর নিকট তার দ্রুত সুস্থতার জন্য আন্তরিক দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করছে।’
দলটি আরও জানায়, ‘এরই মধ্যে ১২২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে তারেক রহমানের আমরণ অনশন কর্মসূচির। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের এখনো টনক নড়েনি। গণদাবি ও নিবন্ধনের ন্যায্য প্রশ্নে নীরব নির্বাচন কমিশনের এই উদাসীনতা জনমনে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।’
দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তারেক রহমান শুধু আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক নন, তিনি জনগণের ভোটের অধিকার, রাজনৈতিক ন্যায্যতা ও রাষ্ট্রে সমতার প্রতীক। আজ তিনি জীবন বাজি রেখে লড়ছেন, কিন্তু নির্বাচন কমিশন নির্বিকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারেক রহমান কেবল দলের নেতা নন, তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে এক সংগ্রামী তরুণ নেতার প্রতীক। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৮-এর কোটা আন্দোলন এবং দেশের নানা সংকটময় মুহূর্তে তিনি সর্বদা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রভাগে ছিলেন।’
বর্তমানে তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রধান গেটে দলের নিবন্ধন দাবিতে আমরণ অনশন চালাচ্ছেন। আমজনতার দল এই আন্দোলনকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই হিসেবে দেখছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ





