• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

বাঁশখালীতে বসতঘর নির্মাণে চাঁদা না দেওয়ায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি    ৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে বসতঘর নির্মাণে চাঁদা না দেওয়ায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের একাধিকবার হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল সংশ্লিষ্ট পরিবারের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ একাধিক দপ্তরে অভিযোগ দাখিলের পর সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতা, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ভূমি সার্ভেয়ারের উপস্থিতিতে বিরোধপূর্ণ সম্পত্তির অংশীদারি ও বণ্টননামা সম্পন্ন হয়। এতে আইনি ও সামাজিকভাবে বিরোধের সমাধান হয় বলে জানা গেছে।

সমাধানের পর ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন তার প্রাপ্ত অংশে বসতঘর নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু নির্মাণসামগ্রী আনার সময়ই প্রতিপক্ষ বাধা সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও চাম্বল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান শহিদুল আলমের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সাময়িকভাবে মীমাংসা হয় এবং নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী জানান, ১৫ অক্টোবর থেকে তারা ঘর নির্মাণ শুরু করেন এবং টানা সাত দিন কাজ চলে। পরে পুলিশ এসে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা কাজ বন্ধ করে দেন।

পরবর্তীতে থানায় উভয় পক্ষকে ডেকে কাগজপত্র যাচাই করে পুলিশ জানায়—যে দাগের ওপর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, সেই জায়গায় ঘর নির্মাণ হচ্ছে না। ফলে পুলিশ পুনরায় কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।

তবে পুনরায় নির্মাণ শুরু করলে প্রতিপক্ষ চাঁদা দাবি করে বলে অভিযোগ ওঠে। চাঁদা না দেওয়ায় আবারও বাধা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালতের নির্দেশে ১৪৫ ধারা জারি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নোটিশ প্রদান করে কাজ বন্ধ করে দেয়।

সম্প্রতি উল্টো কাজে বাধা প্রদানকারী ওই লোকগুলো অনলাইন টেলিভিশন সি প্লাস টিভি ও বিজয় টিভিতে “আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ চলছে” মর্মে সংবাদ প্রকাশ করল তা সম্পূর্ণ  মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন এ সাংবাদে  জসিমের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয় বলে জানান।

ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন অভিযোগ করেন, “প্রশাসনের একাধিকবার হস্তক্ষেপ ও আইনি সমাধান থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষের অব্যাহত বাধা ও হয়রানির কারণে আমরা ভোগান্তিতে রয়েছি। তারা এটিতে ক্লান্ত হয়নি আমার পূর্ব পাহাড়ি এলাকার  জায়গাও জোরপূর্বক দখলে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের কাজ অন্যের জায়গায় দখল করে লুটেপুটে খাওয়া কেউ ঘর বাড়ি করলে চাঁদা দাবি করাই হলো তাদের কাজ। এদের একজনের বিরুদ্ধে   থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আমরা দ্রুত স্থায়ী সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”

এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার এসআই আমিনুল হক মুঠোফোনে বলেন“১৪৫ ধারা জারি হয়েছে, আমি নোটিশ দিয়ে এসেছি। জসিম চাঁদাবাজির অভিযোগ দিলে তদন্তে কাউকে পাইনি। ওসি স্যারকে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন—যে দাগে ১৪৫ জারি হয়েছে, সেটি আদালতের মাধ্যমে সমাধান করতে; অন্য দাগে কাজ করতে কোনো বাধা নেই।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চলনবিলে সরিষা চাষের প্রস্তুতিতে ব্যাস্ত কৃষক
চলনবিলে সরিষা চাষের প্রস্তুতিতে ব্যাস্ত কৃষক
দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয় সৈয়দপুরে মাদক বিরোধী আলোচনা সভা
মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয় সৈয়দপুরে মাদক বিরোধী আলোচনা সভা