প্রকৃতির নতুন সাজে শীতের আগমনী বার্তায় রুপবদল

শিশিরে ভেজা ঘাস আর কুয়াশার চাদর জানান দিল হেমন্ত এসেছে প্রকৃতিজুড়ে। বাংলার প্রকৃতি যেনো প্রতিবারই নতুন করে সেজে ওঠে ঋতুর পালাবদলে। শীতের হালকা আমেজে প্রকৃতি যখন স্নিগ্ধতার চাদরে ঢেকে যায়, তখন চারপাশের দৃশ্যপট আমাদের মুগ্ধ করে। হেমন্তের শেষ ভাগে যখন শীতের কুয়াশা ধীরে ধীরে নামতে শুরু করে, মনে হয় প্রকৃতি নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছে, যেনো নতুন গল্প বলতে চায়।
হেমন্তে নবান্নকে ঘিরে উৎসব হয় বাংলার প্রত্যেক ঘরে ঘরে।হেমন্তের ফসল কাটাকে কেন্দ্র করেই নবান্ন উৎসবের সূচনা হয়, নবান্ন অর্থ-নব নতুন আর অন্ন হলো ভাত।
সকালের কুয়াশা সেই গল্পের প্রথম পৃষ্ঠা। আলো-ছায়ার খেলা যেনো কুয়াশার পর্দার আড়ালে নতুন কিছু প্রকাশের প্রতীক্ষায় থাকে। কুয়াশার পাতলা চাদর বেয়ে সূর্যের নরম আলো যখন গাছের পাতা, মাঠের ঘাসের ওপর পড়ে, তখন প্রকৃতি তার সতেজ সৌন্দর্য ছড়িয়ে দেয় চারদিকে। দূর থেকে সবুজের শীতলতা মনের গভীরে একধরনের প্রশান্তি এনে দেয়।
শীতের আমেজ প্রকৃতির সবুজকে যেনো আরো সতেজ করে তোলে। দূরের ধানক্ষেতের উপর ছড়িয়ে থাকা কুয়াশা, নদীর পাশে বাঁশবাগানের নিচে ঘুমিয়ে থাকা গ্রামের ছবি গুলোকে এক অন্য মাত্রা এনে দেয়। শীতের আগমন প্রকৃতিকে যেমন স্নিগ্ধ করে, তেমনি মানুষের জীবনেও এক নতুন রূপ নিয়ে আসে।
শীতের সকাল মানেই কুয়াশার স্নিগ্ধতা, নদীর ধারের সাঁঝ, পাখিদের কিচিরমিচির আর শীতের বাতাসের মিষ্টি আমেজ। শীতকালে প্রকৃতি যেমন নিজেকে নতুনভাবে সাজায়, তেমনই বাংলার মানুষও প্রস্তুতি নিতে থাকে নতুন উৎসবের। গ্রাম বাংলায় শীত মানে নতুন ধানের গন্ধ, পিঠা পুলির উৎসব, আর উষ্ণতার মাঝে মানুষের মিলনের আনন্দ।
সব কিছুর মাঝে প্রকৃতি তার নিজস্ব ছন্দে ধীরে ধীরে শীতের প্রথম ছোঁয়াকে আমাদের মনে করিয়ে দেয়। এই শীত শুধু প্রকৃতির পরিবর্তন নয়, এটা আমাদের জীবনের এক নীরব আনন্দের গান।
স্থানীয়রা বলছে, হেমন্ত মানেই যেমন শীতের আগমনী বার্তা। অপরদিকে গ্রামবাংলার মানুষের জীবনে হেমন্ত মানেই নবান্ন উৎসবের আমেজ। আগে হেমন্ত এলেই এই জনপদের মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করতো। গ্রাম বাংলায় হেমন্তের রূপ-শোভা কবি নজরুল ভাষায়, অঘ্রাণে মাগো আমন ধানের সুঘ্রাণে ভরে অবনী।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ







