কিশোরগঞ্জে চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিবকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু)-এর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও কিশোরগঞ্জের গর্ব সাঈদ বিন হাবিবকে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। জেলার ছয়টি স্থানে একে একে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনে সিক্ত করা হয়।
দিনের শুরুতে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয় ভৈরবের দুর্জয় মোড়ে। এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় কুলিয়ারচরের দরিয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ডে, সকাল ৯টায় বাজিতপুরের পিরিজপুরে, সকাল ১০টায় কটিয়াদীর বাসস্ট্যান্ডে, বেলা ১১টায় পাকুন্দিয়ার পুলেরঘাট বাজারে, এবং সর্বশেষ দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠে তাকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
প্রতিটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় ছাত্র-যুবক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে কিশোরগঞ্জের তরুণ প্রজন্মের পক্ষ থেকে সাঈদ বিন হাবিবের প্রতি গর্ব প্রকাশ করেন।
গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত প্রধান সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলী। তিনি বলেন, “কিশোরগঞ্জের সন্তান হিসেবে সাঈদ বিন হাবিবের এই অর্জন জেলার তরুণদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। তার নেতৃত্ব ও সাফল্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কিশোরগঞ্জের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছে।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মোসাদ্দেক ভূইয়া, সেক্রেটারি মাওলানা নাজমুল ইসলাম, সদর জামায়াতের আমির মাওলানা নজরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসান আল মামুন এবং সেক্রেটারি ফকির মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিব। তিনি বলেন জুলাইয়ে আমাদের ভাইয়েরা যে স্বপ্নের জন্য রক্ত দিয়েছিলেন, সেই স্বপ্ন এখনও অধরা। সংস্কার কমিশনের বহু বৈঠকের পর যে প্রস্তাবনা এসেছে, সেখানে একটি দল ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু জুলাইয়ের শহীদরা কোনো ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কাঠামো রক্ষার জন্য প্রাণ দেননি—তারা জীবন দিয়েছিলেন সেই কাঠামো ভেঙে দিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক, স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কেমন হবে, সংবিধান কেমন হবে—সেই সিদ্ধান্ত নেবে জনগণই। আর সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো গণভোট। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনাগুলোও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। যারা ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে আগের মতো ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে চায়, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে—ইনশাআল্লাহ।
শেষে তিনি বলেন,গত ১৬ বছর আমরা ভারতীয় আগ্রাসন ও বহিঃচাপের মুখে নাকাল ছিলাম। আগামীর বাংলাদেশে আমরা কোনো বিদেশি আগ্রাসন ভারতীয় হোক বা অন্য কোনো দেশের মেনে নেব না।
এই সংবর্ধনায় ঢাকসু সদস্য আফসানা, চাকসু সদস্য মুশফিকুর রহমান, রাকসু হল সংসদে ভিপি সাবরিনা মারজানকে সংবর্ধনায় দেয়া হয়।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ







