বহুরূপী মানুষ চেনার ৫ সহজ মনস্তাত্ত্বিক উপায়

অনেক সময় মানুষের মিষ্টি কথায় আমরা সহজেই প্রভাবিত হয়ে পড়ি। কিন্তু মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সব মধুর আচরণ আন্তরিকতার প্রমাণ নয়। কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থে ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে, যাদের সাধারণত ‘বহুরূপী’ বা ‘ফেক’ মানুষ বলা হয়। তাদের আচরণে কিছু স্পষ্ট লক্ষণ থাকে, যেগুলো চিনতে পারলে মানসিক শান্তি ও সম্পর্ক-দুটোই সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।

১. শুরুতেই অতিরিক্ত ভালো আচরণ
সত্যিকার ভালো মানুষ কখনো নাটকীয়ভাবে মুগ্ধ করার চেষ্টা করে না। কিন্তু বহুরূপীরা খুব দ্রুত আপনাকে আপন করে নিতে অতিমাত্রায় মিষ্টি আচরণ করতে পারে-যা সতর্কতার সংকেত।
২. মানুষভেদে আচরণ বদলে ফেলা
একই ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন মানুষের কাছে ভিন্ন চরিত্র দেখালে বুঝতে হবে তিনি পরিস্থিতি অনুযায়ী ‘ইম্প্রেশন ম্যানেজমেন্ট’ করছেন-যা বহুরূপী আচরণের সাধারণ লক্ষণ।
৩. আবেগে আন্তরিকতার অভাব
এই ধরনের মানুষ সম্পর্ক গড়ে তোলে সুবিধা নিতে, হৃদয়ের টানে নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের আচরণে সহমর্মিতা বা গভীর আবেগের প্রকাশ থাকে না।
৪. অন্যকে হেয় করতে ভালোবাসে
গসিপ, সমালোচনা ও অন্যকে ছোট করে কথা বলা বহুরূপীদের অভ্যাস। এটি সাধারণত তাদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ও নিরাপত্তাহীনতা থেকে জন্ম নেয়। আজ যে আপনার সামনে অন্যের সমালোচনা করে, কাল সে আপনার সম্পর্কেও একই কাজ করবে।
৫. বন্ধুত্বের আড়ালে প্রতিযোগিতা
মুখে বন্ধুত্ব দেখালেও এরা ভেতরে ভেতরে ঈর্ষা পোষণ করে। আপনার সাফল্যে খুশি হওয়ার বদলে ছোট করতে চায়-মনোবিজ্ঞানে এটি ‘কভারট রাইভেলারি’ নামে পরিচিত।
সুস্থ সম্পর্ক মানে পারস্পরিক সম্মান, সমর্থন ও বিশ্বাস। কিন্তু বহুরূপী মানুষের সাথে সম্পর্ক সেই মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। তাই, এই লক্ষণগুলো সচেতনভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা মানসিক সুস্থতার জন্য জরুরি।
ভিওডি বাংলা/জা







