জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘আইডিয়া ফেস্ট’

সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন এবং তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘আইডিয়া ফেস্ট ২০২৫’ মিনি হ্যাকাথন আসছে তোমাদের ক্যাম্পাসে শীর্ষক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)। এরইমধ্যে এই কার্যক্রম শুরু করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই আইডিয়া ফেস্ট ও মিনি হ্যাকাথনে ১২ টি গ্রুপে প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী তাদের নিজেদের আইডিয়া এবং সমাধান উপস্থাপন করেন। বিশেষ করে কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতি, জলবায়ু ও পরিবেশ, AI/আধুনিক প্রযুক্তি, ট্রাফিক জ্যাম ও নগর জীবন, কর্মসংস্থান ও কর্মমুখী শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তরুণরা তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করেন।
এভাবে ঢাকার আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজে এই কর্মসূচি আয়োজন হচ্ছে। জেডআরএফ’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও ঢাবির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠান আয়োজনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. সোহাগ আউয়াল। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেডআরএফ’র ডাইরেক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, জেডআরএফ’র মনিটর অধ্যাপক ড. আবদুল করিম, আজীবন সদস্য সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুল আহমেদ, অধ্যাপক আসলাম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, আমাদের দেশটা একটা দেশের ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা নির্ভর করে তরুণদের কর্মকাণ্ডের ওপর। আমার তরুণদের চিন্তা ভাবনা কাজে লাগিয়ে আগামীর সমৃদ্ধি বাংলাদেশ গড়তে চাই। সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ বা আইডিয়া ফেস্ট কর্মসূচি। জিয়াউর রহমান দেশ ও জনগণের কল্যাণে অনেকগুলো প্রকল্প নিয়ে কাজ করেছে। এমনকি গত ১৭ বছরেও বহু কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বিশেষ করে করোনার সময়। তাছাড়া সেসময় আমরা চিন্তা করে দেখলাম যে, শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে বিরক্ত হচ্ছে। সেসময় আমরা ভার্চুয়ালি বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করেছি এবং সেটি সফল হয়েছে। এই সংগঠনের প্রেসিডেন্ট হলেন তারেক রহমান এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান।
স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক সোহাগ আউয়াল বলেন, বাংলাদেশ অনেক সমস্যায় জর্জরিত। এসব সঙ্কটের সমাধান করেই কিন্তু আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। আর তরুণরা হচ্ছে আগামীর বাংলাদেশ। তারা দেশকে নেতৃত্ব দিবেন। সেই তরুণদের আরও দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের এই উদ্যোগ। যাতে তরুণরা তাদের দেশ নিয়ে ভাবনা ও বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানে কি করা যায় সেটি উপস্থাপন করতে পারে। আমরা একটি সমৃদ্ধশালী ও সুন্দর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ




