সিএমপি কমিশনার
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের এসএমজি দিয়ে ব্রাশফায়ারের নির্দেশ

চট্টগ্রাম নগরে একের পর এক প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র সাবমেশিন গান (এসএমজি) দিয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ।
মঙ্গলবার দুপুরে ওয়্যারলেস বার্তায় টহল ও থানা পুলিশকে একযোগে মৌখিকভাবে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
সিএমপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত কয়েক দফা পৃথক নির্দেশনাতেই কমিশনার এই নির্দেশ দিয়েছেন। গত ৫ নভেম্বর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন খোন্দকারাবাদ এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগে গুলিতে নিহত হন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা। ওই ঘটনায় বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহও আহত হন।
কমিশনারের বেতারবার্তায় এ আদেশের কথা নিশ্চিত করে কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘কমিশনার মহোদয় বলেছেন, শটগান হবে না, চায়না রাইফেলও বাদ, এখন এসএমজি ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে।’
এছাড়া কমিশনারের বার্তায় টহল টিমগুলোকে এসএমজি ছাড়াও শিশা শটগান, দুটি গ্যাস গান এবং টিম ইনচার্জদের নাইন এমএম পিস্তল বহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থায়ী চেকপোস্ট বাড়িয়ে সাতটি থেকে ১৩টি করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
বার্তায় তিনি পুলিশ সদস্যদের আত্মরক্ষার অধিকার ও দণ্ডবিধির বিধান স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, সব দায়-দায়িত্ব তিনি নিজে গ্রহণ করবেন।
বেতার বার্তার বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন,‘অস্ত্রধারীদের দেখামাত্র গুলি করে হত্যার স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি। আশা করছি আমার অধীনস্ত বাহিনী এই আদেশ পালন করবেন। চট্টগ্রাম নগরকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হতে দিতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘যেভাবে জনসংযোগে ঢুকে প্রকাশ্য গুলি চালিয়ে একজনকে হত্যা করা হয়েছে এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। একটি নগরে পুলিশ থাকবে আবার সেই নগরের মানুষ নিরাপত্তাহীন থাকবে সেটা হতে পারে না। এই জন্য আজ থেকে টহল পুলিশের কাছ থেকে শটগান ও চায়না রাইফেল প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এর পরিবর্তে চায়না অটোমোটিভ সাব মেশিন গান বহন করবে। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দেখলেই গুলি করবে। পাশাপাশি চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।’
নাগরিক সমাজের একাংশ এই ধরনের কঠোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেও অন্যরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন নির্দেশনায় অপব্যবহার ও নিরস্ত্র জনসাধারণের ওপর অতিরিক্ত বল প্রয়োগের সম্ভাব্য ঝুঁকি আছে। তারা নির্বিচারে গুলি কিংবা তাৎক্ষণিক বিচারের পথে চলে যাওয়ার আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএম







