• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন হত্যা: কুমিল্লা সীমান্তে দুই শুটার গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৭ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা থেকে দুই শুটারকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রুবেল ও ইব্রাহিম। তারা দুজনই পেশাদার ভাড়াটে শুটার হিসেবে কাজ করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকালে কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। 

নাম প্রকাশ না করে তিনি  বলেন, কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় দুই শুটারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা মামুন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়। এখনও অভিযান চলছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।এর আগে সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফটকের সামনে মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। আদালতে হাজিরা শেষে ফেরার পথে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মামুন দৌড়ে হাসপাতালের ফটকের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন, পেছন থেকে দুই অস্ত্রধারী তার দিকে গুলি ছুড়ছে। মুহূর্তের মধ্যে দুজন খুব কাছ থেকে একযোগে একাধিক গুলি ছোড়ে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে হত্যা মিশন শেষ করে তারা কোমরে অস্ত্র গুঁজে দ্রুত গেটের বাঁ দিকে পালিয়ে যায়।

পরে আহত অবস্থায় মামুনকে দ্রুত ন্যাশনাল মেডিক্যালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মামুনের সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা যায়, মামুনের শরীরে মোট সাতটি গুলির চিহ্ন ছিল মাথার নিচে একটি, বাম পিঠে একটি, বুকের ডান পাশে একটি, বাম কবজিতে একটি এবং ডান কব্জির ওপরে একটি গুলি লাগে।

পুলিশ জানায়, নিহত তারিক সাইফ মামুন রাজধানীর তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একজন। তিনি ‘ইমন-মামুন গ্রুপের’ অন্যতম প্রধান ছিলেন। একসময় তিনি কুখ্যাত সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন। অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইমন ও মামুনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আলোচনায় উঠে আসে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফের নাম। ১৯৯৭ সালে মোহাম্মদপুর জোসেফের ভাই টিপু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি ছিলেন নিহত মামুন। সেই ক্ষোভ থেকে জোসেফের টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হতে পারে বলেও ধারণা পুলিশের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মল্লিক আহসান সামী বলেন, ‘‘নিহত মামুন হচ্ছেন সেই ইমন-মামুন গ্রুপের মামুন। তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী।”

এর আগেও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় মামুনকে লক্ষ্য করে একদল সন্ত্রাসী গুলি চালায়। সে সময় মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, মামুন হত্যাকাণ্ডে একটি সংঘবদ্ধ ভাড়াটে শুটারচক্র। তারা হত্যার পর সীমান্ত পথে পালানোর চেষ্টা করেছিল। গ্রেপ্তার হওয়া দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের পেছনের মূল পরিকল্পনাকারীদের নাম জানার চেষ্টা চলছে।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নীল দুনিয়ার ‍যুগলের বিষয়ে যা জানাল সিআইডি
নীল দুনিয়ার ‍যুগলের বিষয়ে যা জানাল সিআইডি
জবি ছাত্রদল নেতা হত্যা: দুইজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ
জবি ছাত্রদল নেতা হত্যা: দুইজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ
স্ত্রীর মরদেহ ফ্রিজে রেখে পলাতক সেই স্বামী গ্রেপ্তার
স্ত্রীর মরদেহ ফ্রিজে রেখে পলাতক সেই স্বামী গ্রেপ্তার