জুলাই সনদ বাস্তবায়ন:
রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি অবস্থান

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো বিপরীত অবস্থান নিয়ে আলোচনা করছে। বিএনপি বলেছে, সরকার আপত্তি উপেক্ষা করলে দলটি সিদ্ধান্ত মানবে না। অন্যদিকে, জামায়াত দাবি আদায়ে রাজপথে সক্রিয় থাকার ঘোষণা দিয়েছে। এনসিপি মনে করছে, বিএনপি ও জামায়াত নিজেদের স্বার্থে জুলাই সনদকে জিম্মি করছে। রাজনৈতিক দফতরগুলোর অনড় অবস্থানের কারণে সংঘাত অনিবার্য হতে পারে।
সরকারের আহ্বানে দলগুলো একত্রিত হয়নি। বিএনপি নির্বাচনে মনোযোগী হলেও জামায়াতসহ ইসলামপন্থি দলগুলো রাজপথে সক্রিয়। বিএনপি আপাতত মাঠের কর্মসূচিতে না গেলেও নির্বাচনের আগে গণভোটের তীব্র বিরোধিতা করছে। দলের নেতারা সনদের আদেশ ও সংবিধানে স্বয়ংক্রিয় প্রতিস্থাপনের সুপারিশকে ১৯৭০ সালের ইয়াহিয়া খানের ফরমানের সঙ্গে তুলনা করছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “এটা দাঁড়িয়ে আছে ১৯৭০ সালের ইয়াহিয়া খানের নির্বাচনের মতো। আমাদের দেশ পাকিস্তান নয়, স্বাধীন বাংলাদেশ। তাই গুটি কয়েক মানুষ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারবে না।”
জামায়াত দ্রুত সনদ বাস্তবায়ন ও নির্বাচনের আগে গণভোট দাবিতে অনড়। হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব, তবে সময়ক্ষেপণ করার সুযোগ নেই। জনগণকে সাথে নিয়ে দাবি আদায় করবো।”
এনসিপি গণভোট ইস্যুতে নমনীয় হলেও দ্রুত সনদ বাস্তবায়ন দাবিতে সরব। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, “বৃহৎ দলগুলো সনদকে জিম্মি করছে এবং নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। রাজপথে সংঘাত হলে তা দুঃখজনক।”
দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যেও অন্তর্বর্তী সরকার সবপক্ষের দাবি সমন্বয় করে সমাধানের চেষ্টা করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ মনে করেন, “উপদেষ্টা পদত্যাগ করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যাবে।” বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকারের দায় এড়ানোর কৌশলের কারণে এখনও নির্ধারিত সাত দিনে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
ভিওডি বাংলা/জা






