সিএমপি কমিশনারের ওয়্যারলেস বার্তা ফাঁস

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের অভ্যন্তরীণ ওয়্যারলেস বার্তা বারবার ফাঁস হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিতে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এসএমজি ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়ার মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই তা মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
একাধিকবার এ ধরনের বার্তা ফাঁস হওয়ায় পুলিশ সদর দপ্তরে সন্দেহ ও তোলপাড় শুরু হয়েছে। পুলিশের ভেতরে কেউ ‘তথ্যচোর’ বা ‘লিক নেটওয়ার্ক’-এর অংশ হিসেবে কাজ করছে কি না তা খতিয়ে দেখতে গোপন অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। সদর দপ্তরের নির্দেশে কমিশনারের দপ্তর থেকেই এ তদন্তের তদারকি করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে ১২ আগস্টও কমিশনারের একটি ওয়্যারলেস নির্দেশনা-“অস্ত্রধারী দেখামাত্র গুলি চালাতে হবে”-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছিল। তখনও অনুসন্ধান শুরু হয় এবং পরবর্তীতে প্রেষণ মূলকভাবে তথ্য ফাঁসের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল অমি দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, “পুলিশের অভ্যন্তরীণ বার্তা জনসমক্ষে আসা শুধুই প্রশাসনিক নয়, এটি নিরাপত্তার দিক থেকেও ঝুঁকিপূর্ণ। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে বার্তা ফাঁস করছে, তাদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।”
সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অভ্যন্তরে কারা এই বার্তা বাইরে পাঠাচ্ছে, তা শনাক্তে বিশেষ মনিটরিং শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন কর্মকর্তার যোগাযোগের তালিকা ও ডিভাইস ব্যবহারের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিএমপির ভেতরে একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বার্তা ফাঁস হওয়ার ফলে বাহিনীর ভেতরে বিশ্বাস ও শৃঙ্খলার ওপর আঘাত লাগে। সদর দপ্তরের সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে কয়েকজন কর্মকর্তার যোগাযোগ তালিকা ও ব্যবহৃত ডিভাইস খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভিওডি বাংলা/জা






