সরকারের ভেতরে ‘ভূত’ আছে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, লক্ষ্য করছি, কিছু মিডিয়া কিছু ঘটনার প্রচার-প্রসার করে; নিষিদ্ধ ঘোষিত দল তথা তাদের হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে মিডিয়া ফলাও করে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনেক আন্দোলনশক্তি সমর্থন করলেও আমরা দেখতে পাচ্ছি—কখনও কখনও; সরকারের ভেতরেই দু-একটা ‘ভূত’ আছে; আমরা বারবার এই কথা বলেছি। বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) শিল্পকলা একাডেমীতে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ' জিয়াউর রহমান আর্কাইভ 'প্রকাশনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, যারা গণতন্ত্রের নামে কিংবা স্বাধীনতার নামে রাজনীতি করে স্বাধীনতার মূল স্পিরিটকে ক্ষুন্ন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে এটি ছিল জনগণ ও সৈনিকদের সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া ছিল ৭ই নভেম্বরের বিপ্লব। বিপ্লবের মহানায়কের ভূমিকায় ছিলেন জিয়াউর রহমান। যখনই আমরা সংকটে পড়ি, ৭ই নভেম্বরের চেতনা আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের জুলাই ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান ছিল এসব অনুভূতিরই প্রকাশ।
রিজভী বলেন, জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে—তাহলে আসল কাজটি কখন করবেন? “বিয়ে হবে”, “হলুদ হয়েছে”—সব আয়োজন হলো, কিন্তু বিয়ে সিদ্ধ করার কাজ বাকি রয়ে গেল—এভাবেই কথা হচ্ছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন ও সংসদীয় প্রস্তুতি প্রয়োজন; পরে পার্লামেন্ট আগে রচিত হলে আইনগত প্রক্রিয়া সহজে বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু পার্লামেন্ট নির্বাচন আগে না হলে আইনকরণ কীভাবে সম্পূর্ণ হবে?
তিনি বলেন, নির্বাচন বিলম্ব করার কোনও কারণ নেই। বিলম্বের ফলে আমরা আজ অগণতান্ত্রিক শক্তির পুনরুজ্জীবিত হওয়ার আওয়াজ পাচ্ছি। তাদের কণ্ঠস্বর ক্রমশ বাড়ছে—অডিও-ভিডিও মাধ্যমে হিংস্র বক্তব্য প্রচার হচ্ছে; লকডাউনের হুমকি দেয়া হচ্ছে; বিদেশ থেকে আর্থিক ও রাজনৈতিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে—এসবের ছায়া দৃশ্যমান। টাকা-পয়সার অভাব নেই—বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা পাচার করেছে; সেই টাকা দিয়ে বিশৃঙ্খলা করা সহজ।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্টের নিষ্ঠুরতার চেহারা অনেক আগেই ছিল, এবং তারা রাষ্ট্র ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ভিন্ন ধরনের জঘন্য কাজ করেছে—বাসে আগুন দেয়া, মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি। বিরোধীরা নিধনের মতো অপকর্মের ভুক্তভোগী হলেও আমরা বলেছি—এগুলো সরকার করিয়েছে—এ দাবি আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি: কুমিল্লার বাসে আগুন, রংপুরের বাসে আগুন, ঢাকায় বাস-ঘটনা—এগুলো পরিকল্পিত। কয়েকদিন পর আবার একই ধরনের ঘটনা দেখা যাবে—বাসে আগুন, চালককে পুড়িয়ে মারাসহ ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় সহিংসতা। ময়মনসিংহে একজন মিনিবাস চালককে পুড়িয়ে মারা মেরেছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ






