• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

মিনু-মিলনকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা হবেনা: বিএনপি

রাজশাহী ব্যুরো    ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৩ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিবাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে সারাদেশে ২৩৭ আসনে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজে যাচাই বাছাই করে এই মনোনয়ন দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীর ছয়টি আসনে তিনি মনোনয়ন দিয়েছেন।

এর মধ্যে রাজশাহী সদরে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক রাসিক মেয়র ও সংসদ মিজানুর রহমান মিনু ও রাজশাহী-৩ পবা-মোহনপুর আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন।

তাঁদের উভয়কে মনোনয়ন দেয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে রাজশাহী মহানগরের বর্তমান ও সাবেক বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন এবং পবা-মোহনপুরের বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার বিকেলে বর্তমান ও সাবেক মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন এবং পবা-মোহনপুর উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ আনন্দ মিছিল নগরীর বাটার মোড় থেকে শুরু হয়। মিছিল নিয়ে নেতৃবৃন্দ মালোপাড়া, সোনাদিঘীর মোড়, মনি চত্বর দিয়ে সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট ঘুরে গণকপাড়া হয়ে পুনরায় বাটার মোড়ে এসে শেষ করেন। প্রধান শহর মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত  হয়।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজশাহী-৩ আসনে জনপ্রিয় নেতা এডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করায় কিছু ব্যক্তি ঘৃন্য রাজনীতি শুরু করেছে। মিলন হচ্ছে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, যুবদলের সভাপতি ও রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও বিএনপি তিনবারের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক। তিনি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করে আসছেন।
এই জনপ্রিয় নেতাকে নিয়ে এবং তারেক রহমানকে নিয়ে নানা ধরনের বাজে মন্তব্য ও কটুক্তি করা হচ্ছে। তারা বলেন, শফিকুল হক মিলন যেমন রাজশাহী মহানগরের জনপ্রিয়, তেমনি পবা-মোহনপুরবাসীর নয়নের মনি। তিনি তাঁর সংসদীয় এলাকার সকলকেই চেনেন এবং জানেন। তাঁকে নিয়ে যেকোন ধরনের মন্তব্য রাজশাহী মহানগর ও পবা-মোহনপুরবাসী বরদাস্ত করবে না। এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে বলে জানান তারা।

বক্তার আরো বলেন, যে ব্যক্তি এগুলো করছে,তাকে কেউ মহানগর এবং পবা-মোহনপুরে চেনে না। তিনি তাঁর বাবার পরিচয়ে এমপি, মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এই স্বপ্ন দেখা বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি। তারা আরো বলেন, নাসির হোসেন অস্থিরকে নিয়ে অপরাজনীতি শুরু করেছে। অস্থির কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তিনি তার বাবার রাজনৈতিক পরিচিতি ব্যবহার করে নেতৃত্বে আসতে চান। যারা রাজশাহীর রাজনীতিতে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন তারা।

তারা আরো বলেন, অস্থির কোনদিন আন্দোলন সংগ্রামে আসেনি। এমনকি বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের কোথাও তার নাম নাই বলে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, রাজনীতিতে আসুন, দলের হয়ে কাজ করুন, জেল খাটুন, জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করুন তারপরে আসেন মনোনয়ন নিতে। দীর্ঘ সতের বছরে একদিনের জন্যও তাকে রাজপথে দেখা যায়নি। এমনকি তার নামে কোন মামলাও হয়নি। তিনি আবার সংসদ সদস্য হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়েছেন। সেইসাথে এডভোকেট শফিকুল হকের বিরুদ্ধে মিছিল ও সমাবেশ করছেন। সেখান থেকে আবার তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করছে তারা বলে উল্লেখ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, মিজানুর রহমান মিনু দীর্ঘ সতের বছর  সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মেয়র ছিলেন। তিনি রাজশাহীর উন্নয়নের একমাত্র রুপকার। তিনি রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, ষ্টেশনসহ এমন কিছু নাই প্রতিষ্ঠা করেননি। তাঁকে নিয়ে রাজশাহী মহানগরীর কিছু নেতা উল্টাপাল্টা মন্তব্য করছে। শুধু মন্তব্যই নয় ষড়যন্ত্রও শুরু করেছে। যারা এগুলো করছে তারা কেন্দ্রের একজন নেতার  নির্দেশে করছে। এগুলো পরিহার করার কথা বলেন, না হলে হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দেবেন উল্লেখ করে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তার বিরোধীতা করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তারা। সেইসাথে প্রতিটি আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান বক্তারা।  

সমাবেশে মতিহার থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনসার আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি  সাইদুর রহমান পিন্টু। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রআজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শওকত আলী,  শাহ মখদুম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, মতিহার থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন, সাংগঠনিক সম্পাদক খাজদার আলী, বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিলদার, মাহনগর ১নং ওয়ার্ড বিএনপিরসাবেক সভাপতি হাজী শহিদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নাফ মুন্নাফ, মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বকুল, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন বাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক বাধন, নাজির হাসান, কামরুজ্জামান মিলন, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুর্ত্তজা ফামিন, পবা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান হাফিজ। এছাড়াও মহানগর ও পবা-মোহনপুর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের প্রায় দুই হাজারের  অধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।


ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রায়গঞ্জের ফুলজোড় নদী থেকে হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
রায়গঞ্জের ফুলজোড় নদী থেকে হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
মধুপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
মধুপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন