বাগেরহাট-৪ ও গাজীপুর-৫ আসনে স্থিতাবস্থা জারি

বাগেরহাট-৪ ও গাজীপুর-৫ আসনের বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালত স্থিতাবস্থা জারি করেছে। আদালত ১৬ নভেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসন বহালের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আর সোমবার (১০ নভেম্বর) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহালে নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের অন্তত ৩৯টি আসনের সীমানায় ছোট বড় পরিবর্তন আনে ইসি। এতে গাজীপুরে একটি আসন বেড়ে বাগেরহাটে একটি আসন বাদ যায়। গতকালই সীমানা পুননির্ধারণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায়ে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল থাকাসহ গাজীপুরে একটি আসন কমানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারা গড়ে তোলে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি এবং হরতাল-অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেন।
কিন্তু নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়। আগের প্রস্তাবের তুলনায় শুধু সীমানা পরিবর্তন করা হয়। এর পর থেকেই সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি আসন কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হরতাল, অবরোধ, অবস্থান, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, ইসির আসন পুনর্বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে। চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট সদর, চিতলমারী ও মোল্লাহাট নিয়ে বাগেরহাট-১; ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা নিয়ে বাগেরহাট-২ এবং কচুয়া, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ গঠিত হয়েছে।
১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। সে অনুযায়ী বাগেরহাট-১ ছিল চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট; বাগেরহাট-২ ছিল বাগেরহাট সদর-কচুয়া; বাগেরহাট-৩ ছিল রামপাল-মোংলা এবং বাগেরহাট-৪ ছিল মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা।
ভিওডি বাংলা/জা





