• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

মানবতাবিরোধী মামলায় শেখ হাসিনার রায় ১৭ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৮ পি.এম.
শেখ হাসিনা -ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ১৭ নভেম্বর (সোমবার)।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১২টা ৯ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আরও পড়ুন: হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা আজ

প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ ও অন্যান্য। আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান গত ২৩ অক্টোবর সমাপনী বক্তব্য দেন। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে বিশ্বের নেতাদের বিচার উদাহরণসহ শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন।

পরে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেন তাদের যুক্তি-বিরোধী বক্তব্য দেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার জন্য ১৭ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন।

মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও রয়েছেন। তবে তিনি রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রসিকিউশন তার ক্ষেত্রে রায় নির্ধারণের সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দিয়েছে।

শেখ হাসিনার মামলায় ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জন  ইতোমধ্যেই সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ৩ আগস্ট এবং শেষ হয় ৮ অক্টোবর। মামলায় পাঁচটি মানবতাবিরোধী অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা এবং আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। আনুষ্ঠানিক অভিযোগের নথি মোট ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠা, যার মধ্যে তথ্যসূত্র ২,০১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪,০০৫ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকা ২,৭২৪ পৃষ্ঠা। 

গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা মামলার প্রতিবেদন জমা দেয়। এই রায়ের মাধ্যমে জুলাই গণহত্যার প্রথম কোনো রায় শুনতে যাচ্ছে দেশ।

মামলার আসামিদের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন মামলার অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী বনে যাওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশনের পক্ষে পাঁচ দিন ও আসামিপক্ষের পক্ষে তিন দিনের যুক্তিতর্ক শেষ হয় গত ২৩ অক্টোবর। ওই দিনই সমাপনী বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। পরে ট্রাইব্যুনাল রায়ের তারিখ ঘোষণার জন্য ১৩ নভেম্বর দিন ঠিক করেন।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে এবং প্রসিকিউশন সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে মামলা পরিচালনা করেছেন, তবে সাবেক আইজিপি মামুনের শাস্তি ট্রাইব্যুনালের ওপর নির্ভর করছে।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে সেনাসদরে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি
ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে সেনাসদরে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি
আইভীর জামিন স্থগিত
আইভীর জামিন স্থগিত
বাগেরহাট-৪ ও গাজীপুর-৫ আসনে স্থিতাবস্থা জারি
বাগেরহাট-৪ ও গাজীপুর-৫ আসনে স্থিতাবস্থা জারি