বিএসসিতে শেয়ার দরপতন
মুনাফা বেড়েছে, লভ্যাংশ আগের মতোই

চলতি অর্থবছরে ভালো মুনাফা করেছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি)। আলোচিত অর্থবছরে কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ। তা সত্ত্বেও কোম্পানিটি আগের অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে। মুনাফা বাড়ার পরও লভ্যাংশ না বাড়ানোয় কোম্পানির শেয়ারে আজ বড়ো দরপতন দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে আলোচিত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ প্রকাশের পাশাপাশি এই লভ্যাংশের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বুধবার (১২ নভেম্বর) কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পর লভ্যাংশের সুপারিশ করা হয়।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২০ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ১৬ টাকা ৩৭ পয়সা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ৩ টাকা ৭৩ পয়সা বা ২২ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট পরিচালন প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৯৬৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা হয়েছিল ৩১ টাকা ৮ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০৪ টাকা ৮৪ পয়সায়। আগের অর্থবছর শেষে যা ছিল ১০১ টাকা ৯৭ পয়সা।
এদিকে, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, আজ লভ্যাংশ ঘোষণা পরবর্তী প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন সার্কিট ব্রেকারের আওতামুক্ত থাকছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ারদর ৮ টাকা ৪০ পয়সা বা প্রায় ৮ শতাংশ কমে ৯৯ টাকা ৭০ পয়সায় নামতে দেখা যায়।
আলোচিত অর্থবছরের ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ১০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এজিএমের স্থান পরে জানাবে কোম্পানিটি। এই সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ ডিসেম্বর।
ভিওডি বাংলা/জা





