• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জুলাই সনদ লঙ্ঘিত হয়েছে: সালাহউদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৫ পি.এম.
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ । ছবি: সংগৃহীত

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বাক্ষরিত জুলাই সনদ লঙ্ঘন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সালাহউউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যে সমস্ত প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন তার ভাষণে, মোদ্দা কথায় বলতে গেলে জুলাই জাতীয় সনদের, স্বাক্ষরিত সনদের লঙ্ঘন করেছেন। কারণ সে সনদের স্বাক্ষরকারীদের তিনি একজন, ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি হিসেবে এবং অন্যান্য সদস্যবৃন্দ সবাই। যারা রাজনৈতিক দলসমূহ (নেতা) স্বাক্ষর করেছেন, সবাই।’

তিনি বলেন, ‘স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের প্রাধান্যকে তিনি এখানে উল্লেখ করেছেন যেমন রাজনৈতিক দলসমূহ স্বাক্ষরিত জুলাই সনদকে মূল দলিল হিসেবে ধরে নিয়েছে। অথচ সে মূল দলিল থেকে তিনি বহু দূরে সরে গিয়েছেন এবং এখানে বলছেন যে জুলাই জাতীয় সনদ সংবিধান সংস্কার বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫ অনুমোদন করেছেন। এই আদেশ সম্পর্কে একটু আগে বলেছি। ’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘দুই. সনদের সংবিধান সংস্কারবিষয়ক প্রস্তাবনার ওপরে গণভোট অনুষ্ঠান, এইটুকু ঠিক আছে। গণভোট বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঐকমত্য হয়েছে যে এই জুলাই জাতীয় সনদ যেটা স্বাক্ষরিত হয়েছে তার জন্য একটা গণসম্মতি নেওয়া প্রয়োজন। পরবর্তী সময়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত, তিনি আজকে নতুনভাবে আরোপ করলেন। কারণ সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের বিষয়ে কোনো আলোচনা ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা হয় নাই। এটা এজেন্ডায় ছিল না, আলোচনা বা ঐকমত্য হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। ’

সংবিধান সংস্কার পরিষদের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদের নতুন এক কথা, নতুন আইডিয়া আদেশে (জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ) উল্লেখ করা হয়েছে। যদি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হয়, তাহলে সে সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে সংসদ সদস্যগণ একবার শপথ নেবেন, এমপি হিসেবে তো শপথ নেবেন, সেইটার একটা ফরম আছে। কিন্ত এই গেজেট নোটিফিকেশনে, এখানে গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ১৩ নভেম্বর ২০২৫ নিম্নে লিখিত আদেশটি এতদ্বারা জারি করা হইলো, তার মানে রাষ্ট্রপতি এই আদেশটি জারি করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির অর্ডিন্যান্স (অধ্যাদেশ) জারির ক্ষমতা আছে, আমাদের সংবিধান মতে কোনো আদেশ জারির ক্ষমতা নেই। প্রেসিডেন্ট অর্ডার (রাষ্ট্রপতির আদেশ) এইটা একটা ইতিহাস। রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ পরিচালিত হতো এবং সংবিধান গৃহীত হওয়ার কিছু দিন হয়েছে যেহেতু সংসদ গঠিত হয়নি তখনও। সংসদ গঠিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করতে পারতেন সংসদের সেশন যখন না থাকে।এই আদেশের মর্যাদা কী হবে, এই আদেশের বৈধতা কী হবে সেটা জুডিশিয়ারি বলতে পারবে, বিচার বিভাগ বলতে পারবে। আমি এর বেশি আর বলতে চাই না।  এ বিষয়ে আমি গত কয়েক দিন আগেও কথা বলেছি। অর্থাৎ এটার আইনি বৈধতা কতটুকু আছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। যদি এটি সাধারণ প্রজ্ঞাপন হতো, গেজেট নোটিফিকেশন হতো সেক্ষেত্রে আমি বিষয়টি উত্থাপন করতাম না।’

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সন্ধ্যায় বিএনপির জরুরি বৈঠক
সন্ধ্যায় বিএনপির জরুরি বৈঠক
বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর হ্যাক
বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর হ্যাক
ফ্রান্সের নতুন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের সাক্ষাৎ
ফ্রান্সের নতুন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের সাক্ষাৎ