যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার প্রস্তাবে ভারত ভদ্রভাবে ‘না’

নয়াদিল্লির লাল কিল্লা এলাকায় ১০ নভেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে পর্যটন এলাকা একটি মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে একটি আত্মঘাতী গাড়িবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন অন্তত ১২ জন এবং আহত হন প্রায় ৩০ জন। বিস্ফোরিত বোমাটি শক্তিশালী ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইডি বোমা ছিল।
বুধবার (১২ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ তথ্য জানিয়েছেন। কানাডার রাজধানী অটোয়ায় শিল্পোন্নত ও ধনী ৭ দেশের জোট জি৭-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শুরু হয়েছে। সে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মার্কো রুবিও তার দেশের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন।
সম্মেলনের ফাঁকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নয়াদিল্লির গাড়িবোমা হামলা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রুবিও বলেন, “দিল্লিতে গাড়িবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা পরিষ্কারভাবে একটি সন্ত্রাসী হামলা। আমরা এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে। ভারত ইতোমধ্যে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এটা প্রশংসনীয় এবং আমরা চাই তদন্ত সফল হোক।”
রুবিও আরও বলেন, “নয়াদিল্লিতে বিস্ফোরণের পর আমি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে টেলিফোন করেছিলাম। এ ঘটনার তদন্তে ভারতকে সহযোগিতার প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। তবে ভারত জানিয়েছে, এ ঘটনার তদন্তের সম্পূর্ণ সক্ষমতা তাদের আছে এবং আমাদের সহযোগিতা তাদের প্রয়োজন নেই।”
পাকিস্তানি কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই মোহাম্মদ এবং ভারতের জম্মু-কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত-ই-ইসলামকে এ হামলার জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ঘটনাটিকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
ভিওডি বাংলা/জা







