বিচারকের ছেলে হত্যা:
অর্থনৈতিক বিরোধ থেকেই ট্র্যাজেডি

রাজশাহীতে বাসায় ঢুকে বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় নতুন তথ্য জানিয়েছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। পুলিশের দাবি, বিচারকের স্ত্রীর সঙ্গে অভিযুক্ত হামলাকারীর দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক বিরোধের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে আরএমপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গ্রেপ্তার লিমন মিয়া (৩৫) গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। তার সঙ্গে বিচারকের স্ত্রীর আগে থেকেই পরিচয় ছিল। সেই সূত্রে লিমন সময় সময় আর্থিক সহায়তা নিতেন। কিন্তু পরে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিলে তিনি বিভিন্নভাবে বিচারকের স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে লিমন বিচারকের ভাড়া বাসায় তার স্ত্রীর ছোট ভাই পরিচয়ে ঢোকেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি ছুরি বের করলে বিচারকের স্ত্রী ভয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করেন। লিমন দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করলে বিচারকের ছেলে তাওসিফ তার মাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে।
আরএমপির তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, একপর্যায়ে ঘাতক ব্যক্তি বিচারকের স্ত্রী এবং ছেলেকে ছুরিকাঘাত করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ঘাতকও আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যালে নেওয়া হলে ডাক্তার বিচারকের ছেলে মো. তাওসিফকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বিচারকের স্ত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। একই ঘটনায় হামলাকারী ব্যক্তি নিজেও আহত হয়েছেন। তাকে পুলিশ পাহারায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হামলায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিচারকের স্ত্রীর সঙ্গে হামলাকারীর অর্থনৈতিক বিরোধের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে।
আরএমপির মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, তাওসিফকে সম্ভবত শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন এবং হাঁটুর নিচে ও পায়ের আঙুলে কাটার দাগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রাজপাড়া থানায় লিমনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ভিওডি বাংলা/জা

