লকডাউন-অগ্নিসংযোগে নির্বাচনবিরোধী মহলের সম্পৃক্ততা জড়িত : হাবিব

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, আমার তো মনে হয় আওয়ামী লীগের লকডাউনের সঙ্গে, অগ্নিসংযোগের সঙ্গে যারা নির্বাচন চায় না তারাও জড়িত হয়ে যেতে পারে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী চালক দলের উদ্যোগে আয়োজিত “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দেশবিরোধী চক্রান্ত ও লকডাউনের নামে চোরা-গুপ্তা হামলার প্রতিবাদে” এক প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সরকারের উদ্দেশ্যে হাবিব বলেন, নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত আমাদের দেশে কোনও ইনভেস্টমেন্ট আসবে না, আমাদের সঙ্গে কেউ বন্ধুত্ব করবে না। তাই যত ষড়যন্ত্র হোক, যত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হোক, দেশের জন্য-দেশের জনগণের জন্য-নির্বাচন দিয়ে দেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে সামনে রায়ের দিনগুলোতে আওয়ামী লীগ তো কর্মসূচি দিবে দিতে পারে। তাদের সাথে কোনো একটি মহল দেশের ভেতর নতুন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।
হাবিবুর রহমান হাবিব আরও বলেন, “সরকার যদি দৃঢ় অবস্থান নেয়, নির্বাচন কেউ পিছাতে কিংবা বন্ধ করতে পারবে না। সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুক, নির্বাচন কমিশন তারিখ ঘোষণা করুক। সরকারের সানাই বাজা শুরু করুক-মাঠে জনগণ মোকাবিলা করবে। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারির প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে।”
যারা ‘বাংলাদেশ চাইনি’ তারা এ নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না।
সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “নির্বাচন যদি কোনো কারণে না হয়, আপনারা কিন্তু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। যারা ভাবছেন নির্বাচন না হলে ক্ষমতায় থাকা যাবে-তাদের পিঠের চামড়া থাকবে না।
জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি জনগণের বিশ্বাসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান-ধানের শীষের পক্ষেই জনগণ ভোট দেবে ইনশাআল্লাহ।”
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবিরের সভাপতিত্বে প্রতিকি অবস্থান কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি সজল খান সুজন, আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন তালুকদারসহ প্রমুখ।
ভিওডি বাংলা/জা




