নির্বাচনের পর ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসবে : কবীর খান

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে সে বিষয়ে বিশদ বিশ্লেষণ দিয়েছেন অর্থনীতি বিশ্লেষক তোফায়েল কবীর খান। তিনি বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ই নির্ধারণ করবে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য খাত পুনরুদ্ধারের গতি।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল কবির আলোচনায় বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিনিয়োগ প্রবাহ, ব্যবসার সম্প্রসারণ এবং উৎপাদন সক্ষমতা পূর্বের তুলনায় বেশ কমে গেছে। ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদের হার, অনিশ্চয়তা, জটিল নীতিমালা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা-সব মিলিয়ে উদ্যোক্তারা অপেক্ষারত অবস্থায় আছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের পর যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয় এবং ব্যবসা করার পরিবেশ উন্নত করা যায়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা আবার নতুন করে পরিকল্পনায় ফিরবেন।
ব্যাংকিং খাতে সংস্কার জরুরি: অর্থনীতি বিশ্লেষক তোফায়েল কবীর খানের মতে, উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা উচ্চ সুদহার ও ঋণপ্রাপ্তির জটিলতা। ১৩–১৫ শতাংশ এমনকি এর বেশি সুদে ব্যবসা সম্প্রসারণ বা নতুন উদ্যোগ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি বলেন—ব্যাংকগুলোতে শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা, অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং ঋণ বিতরণে ন্যায্যতা নিশ্চিত করা হলে অর্থনীতির চাকা আরও দ্রুত ঘুরবে।
বৈদেশিক বিনিয়োগ ফিরবে নীতিগত স্বচ্ছতায়: বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তোফায়েল কবীর খান বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশি কোম্পানিগুলো প্রথমে দেখে দেশের স্থিতিশীলতা, নীতির ধারাবাহিকতা ও জবাবদিহিতা। এসব ক্ষেত্রে উন্নতি হলেই ঋউও বাড়বে।
তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পিত গতিতে এগোয়নি। প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড়, প্রশাসনিক জটিলতা ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন ধীর হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ব্যবসা ও সার্বিক অর্থনীতিতে। বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ি তোফায়েল কবির খান বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যদি সরকার ব্যবসায়বান্ধব নীতি গ্রহণ করে, অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা কমায় এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে মনোযোগ দেয় তাহলে অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, শুধু নির্বাচন হলেই পরিস্থিতি বদলে যাবে এমনটা ভাবলে ভুল হবে। নীতিগত পরিবর্তন, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা—এই তিনটি ছাড়া প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ






